খেজুর কিনে ক্রেতারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্যারামাউন্ড কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ২৬০ কেজি ভেজাল খেজুর জব্দ করেছে।
অভিযানে কোল্ডস্টোরেজে রক্ষিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের গুণগতমান যাচাইকালে নষ্ট, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর মজুদ ও বাজারজাতকরণের অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের জরিমানা করে। এরমধ্যে ১. মো. হাসনাইন, মালিক, মেসার্স সাকিব ট্রেডিং, মিরপুর-১১, ঢাকাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ২. মো. আরিফুল ইসলাম (৪২), মালিক, মদিনা ফুডস শপ, বনানী, ঢাকাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ৩. তারিক আল দীন (৩৮), মালিক, এলডুরাডু এন্টারপ্রাইজ, পূর্ব তেজতুরী বাজার, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, ঢাকাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ৪. মো. কামরুজ্জামান (৩৫), মালিক, কামরুজ্জামান এন্টারপ্রাইজ, শ্রীপুর, গাজীপুরকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ৫. মো. গোলাম মোস্তফা (৪৩), মালিক, সোর্স ডিস্ট্রিবিউশন, দক্ষিণখান, ঢাকাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬. মো. জাবের (৩০), মালিক, উত্তরা ফুডস, রাজলক্ষী, ঢাকাকে ২ লাখ টাকা জরিমানাসহ ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অসাধু ব্যবসায়ীরা ওই সব খেজুর ৪ হাজার ২শ’র বেশি প্যাকেট করে কোল্ডস্টোরেজে মজুদ করে। অথচ এ সব খেজুর আগেই খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নষ্ট ও ভেজাল খেজুরে জীবাণু থাকে। এতে পোকা হয়ে যায়। পেটের ব্যথা, লিভারে সমস্যা ও ট্রক্সি ডায়রিয়া হয়ে মৃত্যুও হতে পারে বলে বিশেজ্ঞরা মতামত দেন।জব্দকৃত খেজুরের পরিমাণ আনুমানিক ২১ হাজার ২৬০ কেজি। এ সব খেজুর জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।