ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
ঢাকাসহ সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হবে ২৫ নভেম্বর, চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুধু অনলাইনে https://gsa.teletalk.com.bd এই ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করা যাবে।
গত বছরের মতো এবারও বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ১৫ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর (মঙ্গলবার) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৩টি ফিডার শাখাসহ) ৩টি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক ৫টি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এছাড়া সারা দেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
আরও বলা হয়েছে, ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও স্ব স্ব ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে স্ব স্ব ভর্তি কমিটির উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন করা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে, যেমন পরীক্ষা নিয়ে, শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
এছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকা/কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন ওই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদনের প্রয়োজন নেই।
শিক্ষক/শিক্ষিকা/কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তিউপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক/শিক্ষিকা/কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তিউপযুক্ত সন্তান বালক হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। অর্থাৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সন্তান ভর্তির যে ২% কোটা নীতিমালায় সংরক্ষিত ছিল তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়ম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট ও টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।