বিভিন্ন সংস্থার তথ্যে ভিন্নতা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ২৮টি ফসলের প্রকৃত চাহিদা ও জোগান নিরূপণ করবে সরকার। ফসলগুলোর চাহিদা স্ট্যাডি করে একটি পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত প্রতিবেদন তৈরি করতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলকে (বিএআরসি) দায়িত্ব দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
বিশেষজ্ঞ টিমের তত্ত্বাবধানে ২৮টি ফসলের মাঠ পর্যায়ের ও গবেষণালব্ধ তথ্য সংগ্রহের পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফসলগুলোর চাহিদা নিরূপণ করা হবে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত এসব ফসলের চাহিদার পূর্বাভাস দেওয়া হবে। ফসলের চাহিদা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আগামীতে উৎপাদনসহ এসব ফসলের বিষয়ে অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা চেয়ে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তহবিল পাওয়া সাপেক্ষে আগামী বছরের জুনের মধ্যে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিএআরসি।
ধান, গম, ভুট্টা, আলু, মিষ্টি আলু, পাট, শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি, সরিষা, চীনাবাদাম, তিসি, তিল, সয়াবিন, সূর্যমুখী, মসুর, ছোলা, মুগ, মাসকলাই, খেসারি, মটর, অড়হর, ফেলন, পেঁয়াজ, রসুন, ধনিয়া, মরিচ, আদা, হলুদ ও কালোজিরা- এই ২৮টি ফসলের চাহিদা ও সরবরাহ নির্ধারণ করা হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মো. আবদুর রৌফ বলেন, বিভিন্ন ফসলের চাহিদার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিভিন্ন সংস্থার চাহিদার যে তথ্য রয়েছে, তাতে ভিন্নতা রয়েছে। চাহিদার সঠিক তথ্য না থাকলে উৎপাদন পরিকল্পনা সঠিকভাবে হয় না। তাই চাহিদার সঠিক তথ্যের জন্য বিএআরসির মাধ্যমে স্ট্যাডিটা করা হচ্ছে। এটা ফসলের উৎপাদন, মূল্য নির্ধারণসহ এই ২৮টি ফসলের বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।