রাজধানীর উত্তরা ও দক্ষিণখান এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) অভিযান চালিয়ে গত দুই দিনে ৫০০ গ্রাম মাদক আইস জব্দ করেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য পৌনে এক কোটি টাকা। অভিযানে তিনজন মাদক কারবারিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন মাে. জহিরুল ইসলাম সুমন (৪০) নুরুল ইসলাম (৩৩) ও মাে. মেজবাহ উদ্দিন ইমন (৩৩)। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) উপ-পরিচালক মাে. রাশেদুজ্জামান এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।
মাে. রাশেদুজ্জামান বলেন, আগস্টে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ডিএনসি অভিযান পরিচালনা করে এক কেজি ২৭০ গ্রাম ভয়ংকর মাদক আইস জব্দ করে। এই অভিযানে আইস কারবারির সঙ্গে জড়িত একটি শক্তিশালী সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পায় ডিএনসি। এরপর বিভিন্ন গােয়েন্দা কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইসের আরও একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ককে শনাক্ত করে ডিএনসি। এ চক্রের সন্ধান করতে গিয়ে ডিএনসির কাছে গোপন তথ্য আসে ঢাকায় মাদক আইসের আরও একটি বড় চালান আসছে।
তিনি জানান, এই তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ মনিটরিং ও ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মাে. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একাধিক টিম গঠিত হয়। পরে এসব টিম রোববার (১৭ অক্টোবর) ও সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর পল্লবী, উত্তরা ও দক্ষিনখান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উত্তরা ও দক্ষিণখানের অভিযানে প্রথমে মাে. জহিরুল ইসলাম সুমন ও নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০০ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়।
পরে গ্রেফতার দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে উত্তরার সেক্টর-১ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাে. মেজবাহ উদ্দিন ইমন নামে আরে মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ২০০ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়েছে।
মাে. জহিরুল ইসলাম সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে জনশক্তি রফতানির কাজের আড়ালে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন। এ কাজে তার সহযােগী হিসেবে কাজ করতেন মাে. মেজবাহ উদ্দিন ইমন।
অন্যদিকে, নুরুল ইসলাম দীর্ঘ ধরে টেকনাফ থেকে আইস ও ইয়াবা নিয়ে এসে রাজধানীর ফকিরাপুলে আবাসিক হােটেলে অবস্থান করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।