আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস- ২০২১ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আমরা পাঁচ মিলিয়ন নতুন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।
‘এজন্য উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ বিশ্ব চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কোর্স চালু, আন্তর্জাতিক সনদায়নের মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের যুব সমাজকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষ হতে হবে এবং বিশ্ব শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে হবে।’
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে আমি অভিবাসী কর্মী, তাদের পরিবারের সদস্যসহ অভিবাসন প্রক্রিয়া ও অভিবাসী কল্যাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’- অত্যন্ত অর্থবহ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
‘আওয়ামী লীগ সরকার অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন, গুণগত মানসম্পন্ন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশে পাঁচটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনটিনিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এর ফলে অভিবাসীদের সন্তানদের জন্য প্রবাসে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
সরকারপ্রধার আরও বলেন, বৈশ্বিক শ্রম বাজারে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। আমরা তাদের জন্য স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ প্রবাসী কর্মীকে বিশেষ ব্যবস্থায় ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের আওতায় এনে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের মূলকথা ‘নো ওয়ান শুড লেফট বিহাইন্ড’ বাস্তবায়নে আমরা সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।