ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
বেতন কাটা চলমান রাখায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। চুক্তির বাইরে তারা কাজ করতে নারাজ। এ সংকট দ্রুত নিরসন না হলে শিডিউল বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দোহাগামী ফ্লাইট সোমবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারেনি। পাইলট ফ্লাইটে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিমানটি যায়নি। একইভাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দুবাইগামী ফ্লাইটও নির্ধারিত সময়ে ছাড়েনি।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, দোহাগামী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ে ছাড়া সম্ভব হয়নি, তবে রাত সাড়ে ৯টায় সময় পুনর্নির্ধারিত হয়েছে। দুবাইগামী ফ্লাইটটি রাত সোয়া ৮টায় ছেড়ে গেছে। তবে পাইলটদের বেতন কাটার অসন্তোষ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তাহেরা খন্দকার।
জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। পরবর্তী ফ্লাইটগুলোতেও পাইলটরা যেতে অস্বীকৃতি জানালে ক্রমাগত শিডিউল বিপর্যয় হবে। এর আগেও পাইলটরা চুক্তির বাইরে ফ্লাইটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর তাতেই এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা লোকসানে পড়ে বিমান। ১৪ জুলাই বৈঠক করে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিমানের পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।
৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বিমানের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতো বেতন সমন্বয় করার জন্য অনুরোধ করে তারা। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন সমন্বয় না করলে পাইলটরা শুধু বিমান ও বাপার মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলেও ঘোষণা দেয় বাপা। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি রুটে ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার শঙ্কা থেকে বিমান কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে চুক্তির বাইরে কাজ না করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন পাইলটরা।
বাপা সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান বলেন, বেতন কর্তনের বিষয়ে বিমান ম্যানেজমেন্টের আলোচনা হয়েছিল। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করে সমাধান করা হবে। কয়েক মাসেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। এখনও বেতন কাটায় পাইলটরা ক্ষুব্ধ। তারা যদি এখন বিমান ও বাপার মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বাইরে ফ্লাইটে না যায়, তাতে তো বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই।