ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঈদ যাত্রায় সড়ক ও নৌ-পথের বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
অনতিবিলম্বে অহেন ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিআরটিএ, জেলা প্রশাসনের ভ্রামমাণ আদালতের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে যানজট ও জনজট নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসনীয় তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও ঈদ যাত্রায় বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের পথে বিভিন্ন রুটে গতকাল থেকে যাত্রা ভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। আজ সকাল থেকে এই ভাড়া আরও বাড়তি আদায় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীসহ উত্তরবঙ্গের পথে যাত্রী প্রতি দিগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা থেকে ফেনীর যাত্রীদের চট্টগ্রামের ভাড়া, ঢাকা থেকে সাতকানিয়া বা আমিরাবাদের যাত্রীদের কক্সবাজারের ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঠিক তেমনই ঢাকা থেকে বগুড়ার যাত্রীদের যশোরের ভাড়া বা সাতক্ষীরার ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এভাবে সল্প দূরুত্বের যাত্রীদের বেশি দূরুত্বের ভাড়া গুনতে হচ্ছে। নৌ-পথেও এহেন কুটকৌশলের ফাদে পেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এহেন জুলুম ভাড়া নৈরাজ্য চললেও ভাড়া নৈরাজ্যকারিদের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
ঈদ যাত্রায় যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশে এখনো টিকিট অব্যবস্থাপনা, টিকিট কালোবাজারী, অপরিকল্পিত যানবাহন ব্যবস্থাপনাসহ নানা ক্ষেত্রে ঈদ ব্যবস্থাপনায় গলদ থাকায় যাত্রীরা পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এসব ভাড়া নৈরাজ্যের প্রতিরোধে বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে প্রতি বছর ঈদে গতানুগতিক পদ্ধতিতে ভিজিল্যান্স টিম বা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হলেও প্রকৃতপক্ষে কোথাও তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।