ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আমদানি ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে এক সময় দামে ডাবল সেঞ্চুরি করা কাঁচমরিচ এখন ২০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও।
চার দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। এক দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ হিলি বাজারে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে সেই মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। চার দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমছে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা। আর একদিনের ব্যবধানে কাঁচ মরিচের দাম কমছে কেজিতে ১০ টাকা। এই দুটি পণ্যর দাম কমায় খুশি নিম্নআয়ের মানুষরা।
সোমবার হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের আড়ৎগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ থাকলেও হিলি কাঁচামালের দোকানগুলোতে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশি কাঁচা মরিচের।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলেন, দূর্গাপূজা উপলক্ষে কয়েক দিন ছুটি থাকবে। তাই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাজারে দাম কমেছে এবং আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে আসছে।
হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এতে মোকামগুলোতে কাঁচা মরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে শুধু বগুড়া থেকে কাঁচা মরিচ আসছিল। এখন নওগাঁসহ আশপাশের এলাকা থেকেও আসছে কাঁচা মরিচ। এতে বাজারে কাঁচা মরিচের সররবাহ অনেকটাই বেড়েছে গেছে। মোকামে আমরা যেমন কম দামে কাঁচা মরিচ কিনতে পারছি, তেমনি বাজারে কম দামে বিক্রিও করতে পারছি। দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকলেও এর প্রভাব পড়েনি এই বন্দরের বাজারে।
হিলি পানামা পোর্ট জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ বলেন, আমদানিকৃত পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য হওয়ায় দ্রুত বাজারজাত করতে আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি মাসের গত ১৩ কর্মদিবসে ভারত থেকে আট হাজার ৬০০ মেট্টিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।