ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজারে আদার দর বাড়তি। আমদানি হয়ে বাংলাদেশে এসে সেই দাম আরও বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ। আমদানি পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৭০ টাকায় কেনা আদা চট্টগ্রামে আড়তে এসে হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকা। সেই আদাই খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের থেকে জানা যায়, আদার মূল বাজার চায়না। এবার চীনে বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ায় দেশে আদার সংকট তৈরি হয়েছে। সংকট তৈরি হওয়ায় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে আদার বাজার। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে আমদানিকারক সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো এলসি (ঋণপত্র) দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। এতে মূল আমদানিকারকরা এলসি করার সুযোগ না পেলেও দলীয় প্রভাবশালীরা এলসি করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলসি খুলে আদা আমদানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরাই।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, যারা নাটের গুরু তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। অথচ মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন অভিযানের নামে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছে। পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায় আদার সংকট। কয়েকটি দোকানে আদা থাকলেও দাম চড়া। বাজারটিতে মিলছে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আদা। কিছু দোকানে পাওয়া যাচ্ছে দেশি আদাও।