ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের। বিক্রেতারা বলছেন, তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দাম রাখতে হচ্ছে।
আর, ক্রেতারা বলছেন ঈদের আগে সব সময় মসলার দাম বিনা কারণে বেড়ে যায়।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের মসলার দোকান থেকে জানা গেছে, বাজারে বড় এলাচ প্রতি কেজি ১৬০০-২৬০০ টাকা, মাঝারি এলাচ ১৪০০-১৫০০ টাকা, ছোট এলাচ ১২০০-১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য মসলার মধ্যে লবঙ্গ ১৪০০-১৫০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ৯৫০-১০০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৬৫০-৭০০ টাকা, দারুচিনি ৪১০-৫২০ টাকা, ধনিয়া ১৩০-১৬০ টাকা, সরিষা ৩০০-৩৫০ টাকা, মেথি ৩৫০-৪০০ টাকা, তেজপাতা ১৫০-২০০ টাকা, মিষ্টি জিরা ৪০০-৫০০ টাকা, কালিজিরা ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিটি মসলা গড়ে ১০-১০০ টাকা কেজি প্রতি বেড়েছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে।
এদিকে, বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, দেশি রসুন ৭০-১০০টাকা, আমদানি করা রসুন ১২০-১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-১২০ টাকা, দেশি শুকনা মরিচ ৩৯০-৪৪০ টাকা, আমদানি করা শুকনা মরিচ ৪২০-৪৬০ টাকা, দেশি হলুদ ২২০-২৯০ টাকা, আমদানি করা হলুদ ১৯০-২৩০ টাকা, দেশি আদা ২২০-২৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৩০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমান বাজারে খোসাযুক্ত চীনাবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। তবে খোসাবিহীন বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাঠবাদাম ৮০০-৯০০ টাকা, পেস্তাবাদাম ১৮০০-২০০০ টাকা, কাজুবাদাম মানভেদে ৯০০-১০০০ টাকা, আখরোট ১০০০-১১০০ টাকা, মিষ্টি আলুবোখারা কেজিপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা, টক আলুবোখারা ৫০০-৬০০ টাকা, কিসমিস ৪০০-৫০০ টাকা, কালো কিসমিস ৭৫০-৮৫০ টাকা ও নারিকেল জোড়া ১০০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।