ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাজধানীর বাজারে কাঁচা মরিচের ঝাল যেন বেড়েই চলেছে। গত শুক্রবার (২৯ জুলাই) কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। গাজরের দাম কিছুটা কমলেও পাকা টমেটো গত সপ্তাহের মতো কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বরবটি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি গত সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৭০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে কেজি ২০-২৫ টাকা, আর পটল ২০-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা। এসব সবজি ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর কচুর লতি ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজিও ৪০-৫০ টাকার মধ্যে আছে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।
প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এসব বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, চায়না রসুন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এছাড়া আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডাল কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্যাকেট আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, খোলা আটার কেজি ৫০ টাকা। এছাড়া ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯৫ থেকে ১৯০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ১৯০ টাকায়।
এদিকে, এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০-৮০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকায়। ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি তেলাপিয়া, পাঙাশ। শিং মাছের কেজি ৩০০-৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকায়। কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২০০-২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ১৬০-১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০-২৮০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, সবজির দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও সবজির। সরবরাহ বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই কমে যাবে সবজির দাম।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. নিয়াজ বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। এছাড়া কোরবানির ঈদের মাংস অনেকের ফুরিয়ে এসেছে। ফলে বাজারে চাহিদা বেড়েছে মুরগির। এ কারণে দাম বাড়ছে।
মহাখালীর মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে আমাদের কেনা দামই বেশি পড়ছে। তাই খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঈদের পর থেকে একই রকম বাজার চলছে। আমরা যখন পাইকারি বাজারে কম দামে মাছ কিনতে পারব, তখন খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করত পারব। বাজার যখন যেমন চলে, তখন সেভাবেই বিক্রি করি।
মহাখালীর টিবি গেইট এলাকার মাংস বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাড়তি দাম থাকায় গরু-খাসি মাংসের ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। মাংসের দোকানগুলো ফাঁকা ফাঁকা। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ মাংস কিনছে না।
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, প্রতি সপ্তাহেই বাজার আসি। ঈদের পর থেকে কোন সপ্তাহে দাম কমেছে বলে মনে হয় না। এই দামে কিনতে কিনতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বাজার দর স্বাভাবিক বলব না, বাড়তিই আছে।