ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে কমেছে ভোজ্যতেলের দাম। এর প্রভাবে গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশের পাইকারি বাজারেও কমেছে খোলা তেলের দাম। পাইকারি বাজারে দাম কমায় খুচরাতেও পড়েছে এর প্রভাব। তবে খোলা তেলের দাম কমলেও বোতলজাত তেলের দাম এখনো কমানো হয়নি। ফলে খোলা তেলের দাম কমার সুফল পুরোপুরি পাচ্ছেন না গ্রাহক।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে মুদি দোকানে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিনের দাম ২ থেকে ৬ টাকা কমেছে। এছাড়াও পাম তেল ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে।
খুচরায় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬২ থেকে ১৬৪ টাকা, যা আগে ১৬৪ থেকে ১৭০ টাকা ছিল। অপরদিকে পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা আগে ছিল ১২৫ থেকে ১৩২ টাকা।
রামপুরা বাজারের মুদি দোকানি ফরিদ বলেন, পাইকারিতে দাম কমার কারণে এখন খুচরায় খোলা তেলের দাম কমছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম না কমায় খুচরায় খোলা তেলের দাম কমার গতি কম।
তিনি বলেন, খুচরা বাজারে খোলা তেলের দাম নির্ভর করে বোতলজাত তেলের দাম বাড়া-কমার ওপর। বোতলজাত তেলের দাম বাড়লে খোলা তেলের দাম এমনিতেই বেড়ে যায়, কমলে কমে যায়।
অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের তেল ব্যবসায়ী সোনালি ট্রেডার্সের আবুল কাশেম বলেন, সয়াবিনের চেয়ে পাম তেলের দাম দ্রুত কমেছে। মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। যেখানে সয়াবিন সে তুলনায় অর্ধেকও কমেনি।
বোতলজাত তেলের দাম সরকারের সঙ্গে বসে নির্ধারণ করে দেয় তেল পরিশোধনকারী মিলগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সবশেষ গত ১৭ জুলাই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করে সংগঠনটি।
সরকার নির্ধারিত এ দাম ১৮ জুলাই থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন দরের তেল বাজারে ছাড়তে গড়িমসি করে কোম্পানিগুলো। সে কারণে আগের বাড়তি দরেই তেল বিক্রি হয়েছে বেশ কিছুদিন।