ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সবশেষ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী খোলা চিনির কেজি ১০৪ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ২৬ থেকে ৩১ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
ভোক্তারা বলছেন, সরকার বলছে দাম কমিয়েছে, কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখছি ব্যবসায়ীরা উল্টো দাম বাড়িয়েছেন। প্রয়োজন থাকায় চিনি কিনতে হচ্ছে বেশি দামেই। সরকারের উচিত অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া।
ভোক্তাদের অভিযোগ স্বীকার করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকার চিনির নতুন দাম নির্ধারণের পর থেকে নতুন করে বাজারে সংকট তৈরি করেছে বড় বড় কোম্পানিগুলো। তারা ঈদের সময় দাম বাড়িয়েছে, এখনো সেই দামেই বিক্রি করছে। আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সরকার খোলা চিনির দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে। এর আগে সরকার নির্ধারিত দাম ছিল ১০৭ টাকা, কিন্তু বাজারে পাওয়া যেত ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
৬ এপ্রিল দাম কমানোর পর থেকে বড় কোম্পানি ও ব্যবসায়ীরা চিনি সরবরাহ সীমিত করে দেয়। এতে চিনির দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের চিনি কেনার সময় কোনো রসিদও দিচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির বাজারে অস্থিরতার কারণে এখন অনেকেই চিনি বিক্রি করছেন না। ঈদের আগে ৫০ কেজি চিনির বস্তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৫ হাজার ৯৫০ টাকায়। বর্তমানে এক বস্তা চিনিতে দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
মৌলভীবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, বড় কোম্পানিগুলোর কেউ সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি করছে না। তারা পাইকারি দর নিচ্ছে ১২৫ টাকা। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের রসিদ দিচ্ছে না। আবার সরকারের কাছে দেখাচ্ছে নির্ধারিত দামেই (১০৪ টাকা) বিক্রি করছে!