ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: এক সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজ দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে ডিম, ব্রয়লার মুরগি, আটা ও আলুর দাম। বিপরীতে কমেছে মাঝারি মানের চাল, ময়দা, রসুন, আদা, শুকনা মরিচ ও চিনির দাম। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দাম সংগ্রহ করে এ তথ্য তথ্য দিয়েছে টিসিবি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টিসিবির তৈরি করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ফার্মের ডিমের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ। এতে এক হালি (৪টি) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা।
ডিমের দাম বাড়ার দিনই বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ থেকে ২৩০ টাকা।
পরদিন শুক্রবার (১০ মার্চ) বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা আগে ছিল ২৫-৩৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০-৪০ টাকা।
দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে খোলা ও প্যাকেট আটা। খোলা আটার দাম বাড়ে গত ৪ মার্চ। ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৫-৬০ টাকা। প্যাকেট আটার দাম ১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা, যা আগে ছিল ৬৫-৬৮ টাকা। প্যাকেট আটার দাম বাড়ে ৯ মার্চ। একই দিন বাড়ে আলুর দামও। ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ দাম বেড়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকা, যা আগে ছিল ১৯-২২ টাকার মধ্যে।
অপরদিকে, ৯ মার্চ মাঝারি মানের (পাইজাম, লতা) চাল এবং খোলা ও প্যাকেট ময়দার দাম কমেছে। পাইজাম লতা চালের দাম ১ দশমিক ৮২ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৬ টাকা, যা আগে ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
খোলা ময়দার দাম ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৫ টাকা, যা আগে ছিল ৬৫-৬৮ টাকা। প্যাকেট ময়দার দাম ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ৭৫-৭৮ টাকা।
একই দিন দাম কমেছে আমদানি করা রসুন, শুকনা মরিচ ও আদার। ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৪০-১৬০ টাকা। দেশি রসুনের দাম ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা, যা আগে ছিল ৯৫-১২০ টাকা।
দেশি আদার দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। এহ কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-২৮০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ থেকে ৩২০ টাকা। দেশি শুকনা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪২০ টাকা, যা আগে ছিল ৩২০ থেকে ৪৩০ টাকা।
এছাড়া চিনির দাম কমেছে ১০ মার্চ। ২ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দারুচিনির দাম কমেছে ৬ মার্চ। ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ থেকে ৪৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫০ থেকে ৫২০ টাকা।