ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রমজানে তেল, চিনি, ছোলা, খেজুরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সাতটি ভোগ্যপণ্য আমদানিতে প্রায় ২৫০ কোটি ডলার দরকার হবে। এসব নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীদের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তিতে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের সরবরাহ নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রমজানের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিয়মিত এলসি খোলা অব্যাহত রাখা জরুরি। একই সঙ্গে পণ্য আমদানি বাবদ ব্যয় পরিশোধে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এলসি নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডলার সবরবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নিত্যপণ্যের বাজার জনসাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার জন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো যেন নিয়মিত এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি তেল, চিনি, ছোলা, খেজুরসহ সাতটি ভোগ্যণ্যের আমদানিতে এলসি মার্জিন বা নগদ জমা ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা এবং এসব পণ্য ৯০ দিনের বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর এক প্রজ্ঞাপনে এলসি মার্জিনে ছাড় দেওয়ার তালিকায় যুক্ত হয় চাল ও গম।
তবে ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা মনে করছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানি ও সরবরাহকারী বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের জন্য শূন্য বা কম মার্জিনে এলসি খোলার সুবিধা আগে থেকেই আছে। শুধু মার্জিনে ছাড় দিলে কাজ হবে না, আমদানিকারকরা যাতে পর্যাপ্ত ডলারের সংস্থান পান এবং এলসি খুলতে কোনো সমস্যায় না পড়েন তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে ছোলা, মসুর ডাল, খেজুর, অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল, চিনি এবং গম আমদানিতে ২৫০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। এর মধ্যে, ৯৭ কোটি ৪০ ডলার ব্যয়ে ৭ লাখ টন ভোজ্যতেল, ৮১ কোটি ২০ লাখ ডলার ব্যয়ে ২২ লাখ টন গম এবং ৩৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয়ে ৮ লাখ টন চিনি আমদানির প্রয়োজন হবে। এছাড়া, ২ লাখ ১০ হাজার টন ছোলা আমদানিতে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, ১ লাখ ৫৭ হাজার টন মসুর ডাল আমদানিতে ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ৫৯ হাজার টন খেজুর আমদানিতে ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় হবে।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘এলসি খোলাসহ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেছেন। এসব সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’