ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই চড়া রয়েছে সবজির বাজার। বর্তমানে টমাটো ছাড়া কোনো সবজি ৬০ টাকার নিচে নেই। অনেক আগেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। লাগামহীন সবজি বাজারে এখন চোখ রাঙাচ্ছে মসলা জাতীয় (পেঁয়াজ-রসুন-আদা) পণ্য। তবে এসবের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে মুরগির বাজারে, কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে। নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে ডিমের বাজারেও। বুধবার (১০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বাজারে আকারভেদে প্রতিকেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো (মিষ্টি) ৪০ থেকে ৫০, টমেটো (দেশি) ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ধন্দুল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেপে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাকরোল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০, লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৯০, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ৩৫, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এ ছাড়া কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, প্রতি পিস জালি কুমড়া ৫০ থেকে ৭০ টাকা, লাউ ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারে দাম কমে লেবুর ডজন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। দাম বেড়েছে শাকের বাজারেও। আঁটিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, সাদা শাক ২৫ টাকা, পালং ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পাট শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, পুই শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ শাক ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে মসলাজাতীয় পণ্যের। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার চড়া হচ্ছে প্রতিদিন। বাজারে সবচেয়ে দাম বেড়েছে ধনিয়া পাতার। এক সপ্তাহ আগে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পাওয়া যেতো। এখন ধনিয়া পাতা ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, রসুন (চায়না) ১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, আদা ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
দাম কমেছে মুরগির ডিমের বাজারে। এক সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার ২৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায়। আর ডিম প্রতি এক ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তবে আগের চড়া দাম রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। একইভাবে অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজারের দরদাম।