ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা ৬ নভেম্বর থেকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানালেও সরকার এ ব্যাপারে এখনও সায় দেয়নি। তবে আন্তর্জাতিক বাজার ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দাম বাড়বে কিনা, সে ব্যাপারে আগামী রোববার সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
সয়াবিন তেলের লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে গত ১ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিঠিতে সংগঠনটি ৬ নভেম্বর থেকে দাম বাড়ানোর কথা জানায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে দাম বাড়ানো উচিত কিনা, তা পর্যালোচনা করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার কমিশনে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন। তেলের পাশাপাশি চিনির দামের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তাঁরা এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে জানিয়েছেন কমিশনকে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একটি কোম্পানির একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, আমদানিকারকরা ব্যাংকে এলসি খুলতে পারছেন না। ডলারেরও দাম বেশি। তা ছাড়া শিল্পে গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ-সম্পর্কিত তথ্য জানানো হয়েছে কমিশনকে। বিস্তারিত শুনে কমিশন আগামী রোববার আবারও ডেকেছে ব্যবসায়ীদের। ওই বৈঠকে হয়তো দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হতে পারে।
গত ৩ অক্টোবর ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ ও খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৮৮০ টাকা নির্ধারণ করেন। খুচরা পর্যায়ে এখনও এ দরেই বিক্রি হচ্ছে তেল। যদিও পাইকারি পর্যায়ে কিছুটা বেড়েছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা।