ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে তিন-চার টাকা কমেছে। একদিন আগেও বন্দরে ইন্দোর জাতের ছোট ও বড় আকারের প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২৮ থেকে ৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে তা কমে প্রকারভেদে ২৫ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার সকালে হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা মেহেদি হাসান বলেন, ‘পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় গত সপ্তাহ থেকে দাম কমতির দিকে ছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৩ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হলেও একদিনের ব্যবধানে তা বেড়ে ২৮ থেকে ৩২ টাকায় ওঠে। হঠাৎ দাম বাড়ায় মোকামগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি কমে গিয়েছিল। একদিন পরেই সেই দাম আবারও কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজিতে নেমেছে।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন পাতা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কমে গিয়েছিল। এতে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমতে কমতে ২৩ টাকায় নামে। এ কারণে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছিল আমদানিকারকদের। লোকসান থেকে বাঁচতে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আগে যে কমতির দিকে ছিল সেটিও বর্তমানে বাড়তে শুরু করে। এতে একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে মোকামে বিক্রি কমে যাওয়ায় ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। সেই সঙ্গে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় লোকসান হলেও কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে আগের দিনের তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি কিছুটা বেড়েছে। সোমবার বন্দর দিয়ে যেখানে ১৫টি ট্রাকে ৪৪৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল, সেখানে মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ১৮টি ট্রাকে ৫১৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ কাঁচামাল হওয়ায় কাস্টমসের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।’