ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজধানীর বাজারে চালের দাম কমেছে। মোটা চাল কেজিতে কমেছে চার থেকে পাঁচ টাকা। সুগন্ধি চালের দামও কিছুটা কমেছে। তবে কমেনি চিকন চালের দাম। বাজারে আমন মৌসুমের নতুন চাল আসায় দাম কমেছে।
শনিবার যাত্রাবাড়ী, বাবুবাজার, কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতারা এ তথ্য জানান।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আমনের নতুন চাল এসেছে। এর প্রভাবে কমেছে চালের দাম।
উত্তর যাত্রাবাড়ী চাল আড়তে, মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে, ব্রি-২৮ নতুন চালের বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা। যা আগে ছিল দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৭৫০ টাকা, পাইজাম ও স্বর্ণা নতুন চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৩৫০ টাকা, আগে এই চালের বস্তা ছিল দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫৫০ টাকা।
মিনিকেটের বস্তা তিন হাজার ২৫০ থেকে তিন হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫৫০ টাকায়।
চৌদ্দগ্রাম রাইচ এজেন্সি এবং করিম রাইচ এজেন্সি থেকে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে পর্যাপ্ত চালের মজুদ আছে, সামনে চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আগের তুলনায় নতুন মোটা চাল এখন বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমেছে। পাশাপাশি নতুন সুগন্ধি চালের দামও বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে।
বাবুবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সলিম উদ্দিন ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে এখন মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্রি-২৮ নতুন চালের বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৭৫০ টাকা। পাইজাম ও স্বর্ণা নতুন চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৩৫০ টাকা, আগে এই চালের বস্তা ছিল দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫৫০ টাকা।
তিনি বলেন, ‘চিকন চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম তেমন কমেনি। সামনে এগুলোও কমে আসবে। মিনিকেটের বস্তা তিন হাজার ২৫০ থেকে তিন হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫৫০ টাকায়।’
বাবুবাজারে চালের আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে পর্যাপ্ত চালের মজুদ আছে। সামনে চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আগের তুলনায় নতুন মোটা চাল এখন বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমেছে। পাশাপাশি নতুন সুগন্ধি চালের দামও বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে।’
কারওয়ান বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী ও ঢাকা রাইস এজেন্সির মালিক মো. সায়েম ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে নতুন চাল আসায় এখন মোটা চালের দাম অনেকটাই কমেছে, ব্রি-২৮ চাল আগে কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন বিক্রি করছি ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায়। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৬ টাকায়। নাশিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
সুগন্ধি চালের দাম কমার বিষয়ে বাবুবাজারের পাইকারি সুগন্ধি চাল ব্যবসায়ী মেসার্স কনিক এন্টারপ্রাইজের মালিক জিয়াবুল হক ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে নতুন সুগন্ধি চাল আসায় দাম অনেকটাই কমে গেছে। আগে পাইকারিতে পুরানো সুগন্ধি চাল বস্তা (৫০ কেজি) ছয় হাজার ৭০০ থেকে ছয় হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন দাম কমে নতুন সুগন্ধি চালের বস্তা পাঁচ হাজার ৭৫০ থেকে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
এদিকে, চালের দাম কমায় বাজারের একাধিক ক্রেতা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
ক্রেতারা বলছেন, বছর জুড়ে চালের দাম এমন স্থিতিশীল থাকা দরকার। কিন্তু সরকারি তদারকির অভাবে চালের বাজার অস্থিতিশীল করে ফেলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। যার কারণে অসহায় হয়ে পড়তে হয় সাধারণ জনগণকে। তাই চালসহ দৈনন্দিন পণ্যের দাম যাতে কম থাকে সে বিষয়ে যেন সরকার পদক্ষেপ নেয়।