ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার বলেছেন, ‘এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রতি ১০০ মেট্রিক টন চাল পোলিশ করলে পাঁচ মেট্রিক টন চাল অপচয় হয়, যার পুরোটাই চালের পুষ্টির অংশ। মনে রাখতে হবে চকচকে চালে পুষ্টি থাকে না। যে চাল খেয়ে জীবনধারণ করতে হয় তাতে পুষ্টি না থাকলে জনগণ অপুষ্টিতে ভুগবে। এটা হবে আমাদের জন্য পীড়াদায়ক।’
শনিবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে ‘আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পোলিশ করা চাল খাব না- এ আন্দোলন গড়ে তুলতে নিউট্রেশন ক্লাবের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয় দেশের সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছে। প্রতিটি জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম চলমান আছে। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে পুষ্টি সচেতন করতে তাদের সচেতনতা বাড়াতে কাজে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপুষ্টি রোধে নিউট্রিশন ক্লাবের সদস্যরা বিশেষ করে তরুণরা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন। তরুণদের আগামীর ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে তাদের সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সবধরনের সহায়তা করবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহিদুর রশিদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন (গেইন) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফপিএমইউ’র মহাপরিচালক মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী।
এছাড়াও, নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডের উদ্যোক্তা বিবিআইডি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদ উদ্দিন আকবর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন ও বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। দুই দিনের নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডে তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ওয়ার্কিং সেশন, নিউট্রিশন কম্পিটিশন, সেমিনার, ডিবেট, পেইন্টিং ও ইনোভেশন ল্যাব কার্যক্রম।
এবারের আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডে ৩০টি দেশের প্রতিনিধিগণ ভার্চুয়ালি অংশ নেন।