ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহে চালের দাম বস্তাপ্রতি কমেছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আর কেজিপ্রতি কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। সম্প্রতি অস্থিতিশীল চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চালের ওপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এরপর জ্বালানি তেলের দামও এক দফা কমিয়েছে। এ কারণে চালের দাম কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে যেভাবে চালের দাম বেড়েছে, সেভাবে দাম না কমিয়ে কেবল নামমাত্র চালের দাম কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে চাল কিনতে আসা ক্রেতারা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলার ও আড়তদাররা মিলে বস্তাপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে, অথচ কমাচ্ছে ১০০ টাকা। অর্থাৎ কচ্ছপ গতিতে কমছে চালের দাম। আর এ সুযোগে ফায়দা লুটে নিচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে সরকারের আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এক সপ্তাহ আগে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ২৮ নম্বর চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৩ টাকা কেজিতে। আবার সাকী মিনিকেট নামের ২৮ নম্বর চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে।
মাঝারি মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। আবার কোথাও কোথাও ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে নাজিরশাইল চালের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত সপ্তাহে আমদানি শুল্ক মওকুফ করা হয়। পাশাপাশি রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এর আগে গত ২৪ জুন চালের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। এখন আরও ৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হলো।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, চাল আমদানিতে এখন রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, আগাম আয়কর ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ৫ শতাংশসহ মোট ১৫.২৫ শতাংশ শুল্ক-কর দিতে হবে। এই আদেশ অটোমেটেড চাল ছাড়া সব ধরনের চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।