নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে ইলিশের আমদানি শুরু হয়েছে। তবে সেই ইলিশের সঙ্গে জাটকা ও ডিমওয়ালা মা ইলিশের উপস্থিতি রয়েছে।
বিশেষ করে বরিশালের বাজারে বিক্রির জন্য আনা বেশিরভাগ বড় আকারের ইলিশ মাছেই ডিম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
নগরের সদররোড এলাকার বাসিন্দা নাঈমুল ইসলাম জানান, গতকাল তিনি মোট ৬ কেজি ইলিশ মাছ কিনেছেন, যার মধ্যে এক কেজি সাইজের দুটি ইলিশ ছিল এবং এর প্রতিটিতেই ডিম পেয়েছেন। সেইসঙ্গে ছোট আকারের ইলিশগুলোর মধ্যে জাটকাও রয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরাও বলছেন, নিষেধাজ্ঞার পর বাজারে আসা ইলিশের মধ্যে জাটকার উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন তারা।
যদিও মৎস বিক্রেতা মাসুদ জানান, এসময়টাতে জাটকা নয়, ভালো আকারের ইলিশের দখলে থাকে বাজার। আর জাটকায় বছরজুড়ে নিষেধজ্ঞা থাকায় তা প্রকাশ্যে বিক্রির সুযোগও নেই। এছাড়া এ সময়টাতে এলসি থেকে কেজি বা কেজির ওপরের ইলিশ মাছগুলোতে ডিম পাওয়া যায়। তবে গত কয়েকবছর ধরে নিষেধাজ্ঞার উঠে যাওয়ার পরও বেশ কিছুদিন বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা মৎস অফিসের মৎস কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলছেন, বর্তমান সময়টাই এমন, যে ইলিশ মাছ ডিম ছেড়ে আবার সাগরে চলে গেছে, আর কিছু মাছ যারা এখনও ডিম ছাড়েনি তারা নদীতে রয়েছে। অর্থাৎ নদীতে যে মাছ রয়েছে তাতে ডিম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া সারবছরই কম-বেশি ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া যায়। তবে বর্তমান যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে সব ইলিশই নদীতে ডিম ছেড়ে দিবে।
তিনি বলেন, যে পরিমান মাছের সঠিকভাবে ডিম দেওয়ার কথা ছিল, আমরা আশাকরি সে পরিমান মাছ ডিম দিয়েছে। মূলত ৪টি অমাবস্যা-পূর্ণিমাতে বেশি পরিমানে ইলিশ ডিম দেয়, সেই চারটা আমরা কভার করেছি। ফলে এখন যে ডিমওয়ালা মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাতে উৎপাদনের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, আজ যে আবহাওয়া রয়েছে তাতে নদী ও সাগরে ইলিশ পাওয়ার কথা। আর আসন্ন কালিপূজার সময় জো রয়েছে তখন আরও প্রচুর মাছ ধরা পরবে।
এদিকে জাটকার বিষয়ে জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কার্যক্রম কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। আর বাস্তবায়িত হলে ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোন ঘাটতি থাকবে না।