বাজার ব্যবস্থাপনা ও ভালো দাম পাওয়ায় জমজমাট আমের বাজার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অব্যাহত রয়েছে আমের বাজার ব্যবস্থাপনা । আমবাজারে বিক্রেতাদের হাঁকডাকে চলছে বেচাকেনা। এরই মধ্যে দেশসেরা ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ, আম্রপালি, সুরমা ফজলি, ফজলি ও নানা জাতের গুটি আম এখন পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

উপযুক্ত বাজার ব্যবস্থাপনা, নায্য দাম ও বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা আসার পাশাপাশি অনলাইনে বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতারা
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বর্তমানে প্রতিমণ ক্ষিরসাপাত ৩৫’শ-৪ হাজার টাকা, লক্ষণভোগ ১৪ থেকে ১৫’শ টাকা, ল্যাংড়া
৩ হাজার থেকে ৩৫’শ টাকা, আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২৫’শ টাকা, ফজলি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে
১৫’শ টাকা, সুরমা ফজলি ১৪’শ থেকে ১৮’শ টাকা আর গুটি জাতের আম বিক্রি হচ্ছে ৮’শ থেকে ১ হাজার টাকা মণ
দরে।

বর্তমান আম মৌসুমে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জেলার অর্থনীতি। বর্তমানে জেলা জুড়ে প্রতিদিন বেচা-কেনা হচ্ছে প্রায় ৭০-৮০
কোটি টাকার আম। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ ট্রাকসহ কুরিয়ার সার্ভিস এবং রেলের মাধ্যমে আম যাচ্ছে
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, জানান আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

আমের ব্যবসা তুলনামূলক ভালো। বৃষ্টির কারণে ব্যবসা মন্থরভাব থাকলেও বর্তমান বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। প্রতিদিন
চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, ফেণীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে আম যাচ্ছে। জেলায় চলতি মৌসুমে ৩৪ হাজার ৭’শ
৩৮ হেক্টর জমির বাগান থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। যার
বাজারমূল্য দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা, বলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল
ইসলাম।

কানসাট আম বাজারেই বেচা-কেনা হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা। একেক দিন হয়তো বিক্রি কম হলেও পরের দিন ভালো হচ্ছে। অন্যদিকে বাইরে থেকে আম কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখানকার আমের চাহিদা দেশব্যাপী।

এইচ এম || ভোক্তাকণ্ঠ

ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন
আরো সংবাদ দেখুন: পণ্য, রিফান্ড কিছুই দিচ্ছে না আদিয়ান মার্ট, কচ্ছপ গতিতে ডেলিভারি দিচ্ছে REDX, দারাজের পণ্যে গুণগত মানের নিশ্চয়তা নেই