সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেল ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে হলুদ, জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে ও তেজপাতার দাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৮-৫০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৪৫ টাকা ছিল। প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা। যা আগে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম বাড়ার কারণ হিসাবে নয়াবাজারের বিক্রেতা খালেক বলেন, পাইকারি বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও তারা দাম বাড়িয়েছে। যে কারণে বাড়তি দরে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারের মুদি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা। যা সাত দিন আগে ১৭০ টাকা ছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া আছে। এছাড়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকা, যা সরকারের পক্ষ থেকে ১৮৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাওরান বাজারের মুদি বিক্রেতা জাকির বলেন, ডিলাররা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলে আমরাও বেশি দরে বিক্রি করতে বাধ্য। কারণ বেশি দামে কিনলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এখনো ডিলার ও মিল মালিকদের জন্য কার্যকর হয়নি। তারা দাম কমালে খুচরা পর্যায়ে কমবে।
এদিকে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা। যা সাত দিন আগে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি জিরা ৫৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা আগ ৫৫০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ৫২০ টাকা, সাত দিন আগে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা আগে ১ হাজার ৪০০ টাকা ছিল। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ধনে ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি তেজপাতা বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ১৭০ টাকা ছিল।