ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঈদে ছোট বড় সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে সেমাই। অতিথি আপ্যায়নে ঈদ উৎসবে সেমাই ছাড়া চলেই না। ঈদের কেনাকাটায় এখন প্রধান পণ্য সেমাই-চিনি। সেই সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন মসলার বিক্রি। চাহিদা বাড়ার সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
লাচ্ছা ও চিকন এ দুই ধরনের সেমাই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এর মধ্যে সাধারণত লাচ্ছা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি। আগে বাজারে সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি খোলা সেমাইয়ের প্রাধান্য থাকলেও এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত সেমাই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা গেছে, ঈদের আগে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে চিনি ও সেমাইয়ের দাম। প্রতি কেজি চিনির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর সেমাই প্যাকেট প্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
শুধু সেমাই চিনি নয়, বেড়েছে কিশমিশ ও বিভিন্ন বাদামসহ আনুষঙ্গিক বেশ কিছু পণ্যের দাম।
সরকার এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধিত খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে আর পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১০৯ টাকা বেঁধে দেয়। আগের দরের তুলনায় কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছিল সরকার। তবে বাজারে চিনির দাম কমেনি উল্টো কয়েক দফা বেড়েছে। এখন খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।
শুধু সেমাই চিনির দাম নয়, বেড়েছে সেমাই রান্নার অন্যতম উপাদান দুধের দামও। এছাড়া চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কিশমিশ ও কাজুবাদামসহ আনুষঙ্গিক অন্য পণ্যগুলোও।
দেশে খোলা সেমাইয়ের তুলনায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত সেমাইয়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাজারে পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে বনফুল, প্রাণ, কুলসন, ওয়েল ফুড ও স্কয়ার অন্যতম।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে জানা গেছে, ২০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাইয়ের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। বনফুল, প্রাণ মেট্রো, প্রিন্স ও কুলসন ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রাম সেমাইয়ের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই ১০০ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উন্নত মোড়কে আরও কিছু সেমাইয়ের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। ব্র্যান্ড ও সাইজ অনুযায়ী এগুলোর দাম ১০০ থেকে ৫০০ টাকা।
এছাড়া খোলা লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। খোলা চিকন লম্বা সেমাই মান অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।
সেমাইয়ের সঙ্গে বেড়েছে কিশমিশ, বাদাম ও তরল দুধের দামও। বিক্রেতারা জানান, এখন প্রতি কেজি কিশমিশ ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা, কাজুবাদাম ৮০০ থেকে ১১ হাজার টাকা, চিনাবাদাম ২০০ টাকা এবং কাঠবাদাম ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার প্যাকেটজাত তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।