ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এলসি খুলতে পারবে।
মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে বরাদ্দ করা চাল আমদানির লক্ষ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সময়সীমা চাল আমদানির স্বার্থে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত নির্দেশক্রমে বাড়ানো হলো।
এলসি সম্পর্কিত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিকভাবে ইমেইলে ([email protected]) অবহিত করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এলসি খোলার সময় এর আগেও কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছিল।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, বেসরকারিভাবে আরও এক লাখ ৬১ হাজার টন সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাংগা দানা বিশিষ্ট) আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে আগের মত এবারও কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে।
শর্ত হিসাবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকদের অবশ্যই আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে তা বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজতা ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে। বরাদ্ধের বেশি আইপি (আমদানির অনুমতি) ইস্যু বা জারি করা যাবে না। আমাদানি করা চাল স্বত্ত্বাধিকারের নামে পুন:প্যাকেটজাত করা যাবে না। যে বস্তায় বস্তা আমদানি করা হবে সেই অবস্থায় বিক্রি করতে হবে।
চলতি বছর মৌসুমেও চালের দাম ছিল চড়া। দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ নয় হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। পরে আরও কয়েক দফায় বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।