ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাবুবাজারে পাইকারিতে প্রতি কেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৮৬ টাকা। কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। ভালো ব্র্যান্ডের নাজিরশাইল এখন ২০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭১০ টাকায়। যা তিনদিন আগে ছিল এক হাজার ৬২০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবচেয়ে কম দামের চাল গুটি স্বর্ণা। এই মোটা চালও প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৭-৪৮ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি বস্তা দুই হাজার ৩৫০ থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকা।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বিগত বোরো মৌসুমে চালের উৎপাদন কম হওয়াকে দায়ী করছেন। আলেক চাঁন রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আলেক হোসেন বলেন, এ বছর বোরোতে উৎপাদন অনেক কম হয়েছে। সেজন্য সরকার ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বাজারে ভারতের চাল এখনো আসেনি। এ পর্যন্ত যা এসেছে তা মিল মালিকদের কাছে আছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে জ্বালানি তেলের কারণে ট্রাকভাড়া বেড়েছে। আগে যেখানে কুষ্টিয়া থেকে ১৭ হাজার টাকায় বড় ট্রাক আসতো, সেটা এখন ২৫ হাজার লাগছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, একটি বড় ট্রাকে ২৫০ বস্তা চাল আসে। বাড়তি ভাড়ার কারণে প্রতি কেজি চালে প্রায় ৫০ পয়সা বেশি খরচ হচ্ছে।
নীলয় রাইস এজেন্সির কর্ণধার মনসুর হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের কারণে যে শুধু ভাড়া বেড়েছে তা নয়। চাল প্রক্রিয়াকরণের খরচও বেড়েছে। সেজন্য মিলগেটে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সামনে দাম আরও বাড়বে।
এছাড়া বন্যার কারণে এ বছর হাওরে ধান উৎপাদন কম হয়েছে। অন্যান্য এলাকায়ও প্রকৃতিক দুর্যোগে ফলন বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৪ মণ কমেছে। সে সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানির উদ্যোগ নিলেও ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনেকেই এখন পিছু হটছেন।
এদিকে, পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ার প্রভাবে খুচরাতেও বেড়েছে। রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৫ এবং নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।