ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারের সামনের মুস্তাকিন কাবাব অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউজে ৭০ টাকা দিয়ে দুই প্লেট ভাত, ডাল ও একটি রান্না ডিম খেয়েছেন রিকশা চালক জহিরুল (৪৮)। শুধু রান্না ডিমের জন্যই খরচ পড়েছে ৪০ টাকা, আগে যা ছিল ২০ টাকা। এছাড়া একটি ভাজা ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা করে।
আগের তুলনামূলক সস্তা ডিম খেতে এখন বাড়তি পয়সা গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। ডিমের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে দৈনন্দিন ব্যয় বেড়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জহিরুলের মতো সীমিত আয়ের মানুষজন।
জহিরুল বলেন, ‘আগে ক্ষুধা লাগলে যেকোনো হোটেলে গিয়ে একটা ডিম, ডাল, ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়ে নিতাম। খরচও পড়তো না খুব বেশি। এখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর ডিমের দামে আগুন লেগেছে। আগের থেকে প্রতি বেলায় ২০ টাকা বেশি দিয়ে ডিম খেতে হচ্ছে।’
ডিমের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুস্তাকিন কাবাব অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউজের কর্মচারী আব্দুল হাকিম বলেন, ভাজা ডিম ২৫ ও রান্না ডিম ৪০ টাকা করে বিক্রি করছি। ডিম কেনা পড়ছে ৫৫-৬০ টাকা হালি। এর সঙ্গে তেল, পেঁয়াজ ও মরিচ তো আছেই। আমরা কী করবো? সব জিনিসের দাম বাড়তি। ভাত বিক্রি করি, সেই ভাতের দামও বাড়তি।
ডিমের দাম বাড়তি হওয়ার কারণে ক্রেতাদের সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে অনেকে ডিম বিক্রি বাদ দিয়েছেন।
রাজধানীর একাধিক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, শুধু ডিমের দাম বাড়ার কারণেই হোটেলে কেনাবেচা আগের থেকে অনেক কমেছে। প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে অনেককে। বিশেষ করে, ভর্তা-ভাতের রেস্তোরাঁগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আগে এসব রেস্তোরাঁয় ২৫-৩০ হাজার টাকা কেনাবেচা হলেও এখন তা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে।