ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খেজুরের পর এবার চিনির দামও বেঁধে দিল সরকার। বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের জন্য আলোচনা শুরুর বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে যথেষ্ট মজুত রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। চিনি আমদানিতে ভারতের সঙ্গে কথা চলছে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। তবে চিনির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। রমজানে দেশের বাজারে নির্ধারিত দামেই চিনি বিক্রি হবে।
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ভারত- এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দাম নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশকে প্রতি টন পেঁয়াজ ৮০০ ডলারে দেয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
আহসানুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধাগুলো চাইলেই সবকিছু নিরসন করা সম্ভব হয় না। তবে আমাদের উদ্যোগ, চেষ্টা ও চেষ্টার সফলতা আছে। পেঁয়াজ রফতানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ভারত, তারপরও তারা রাজি হয়েছে। সামনে তাদের দেশে নির্বাচন, সেটাও দেখতে হবে। তাদের ভোক্তা বাজার আছে, সেটা মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। হয় আমরা সরকারি ভাবে জি টু জি আনবো, অথবা আমাদের আমদানিকারকদের অনুমোদন দেব। যত দ্রুত সম্ভব বাজারে যাতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করবো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ন সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রমুখ।
গত বছরের ১৩ অগাস্ট সবশেষ চিনির দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল, প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত প্যাকেট চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে।