ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর পরই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নওগাঁয় পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি সরু চালের দাম ১-৩ টাকা বাড়িয়েছে মিল মালিক ও আড়ৎদাররা।
শহরের পার নওগাঁ মহল্লার আড়ৎদারপট্টিতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে প্রতি কেজি জিরাশাইল চাল ৬২-৬৩ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৪ টাকায়। একই সময়ে মানভেদে প্রতি কেজি কাটারীভোগ চাল ৬১-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৮ টাকায়। অর্থাৎ এ দুই জাতের সরু চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১-৩ টাকা।
বিপরীতে স্থিতিশীল রয়েছে মাঝারি ও মোটা চালের বাজার দর। গত ৩ সপ্তাহ যাবত মানভেদে প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫১-৫২ টাকা, ব্রি আর-২৮ ৫৬-৫৭ টাকা এবং সুভলতা ৫৭-৫৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন মিল মালিক ও আড়ৎদাররা।
সততা রাইস এজেন্সির আড়ৎদার ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সুকুমার ব্রম্ম বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোকামগুলোতে সরু চালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এদিকে দেশে চলমান অস্থিরতায় বাজারে ধানের সরবরাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক মিল মালিক চালকল সচল রাখতে পারছেন না। তাই সরবরাহ সংকট সৃষ্টি হওয়ায় আকস্মিক মোকামে সরু চালের দাম প্রতি কেজিতে ১-৩ টাকা বেড়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে দাম আবারও কমতে পারে।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, কারফিউ জারির পর টানা ৩ দিন নওগাঁ মোকাম থেকে ১ ট্রাক চালও ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোকামে পাঠানো সম্ভব হয়নি। যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন এখান থেকে অন্তত ১৫০ ট্রাক চাল যেত। বর্তমানে কারফিউ শিথিল হওয়ার পর মোকাম ও মিল গেটে কেনাবেচা আবারও শুরু হয়েছে। ধানের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে চালের দামে।