ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রতি কেজি আলুর দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হওয়া পুরাতন আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। নতুন আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এখন সাদা নতুন আলু বেশি। কিছু দোকানে পুরানো আলু পাওয়া যাচ্ছে। পুরানো আলু এখনও বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। পুরানো আলুর দামও আগের তুলনায় ২০ টাকা বেশি।
এ বছর আলুর দর লাফিয়ে বাড়তে থাকায় দাম বেঁধে দেওয়ার পর আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। আমদানির পাশাপাশি বাজারে এখন নতুন আলুর সরবরাহও অনেক বেড়েছে। এরপরও লাগাম টানা যায়নি। অথচ সপ্তাহখানেক আগে দুই ধরনের আলুর দর ছিল ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে।
বড়দারোগাহাট বাজারের পাইকারি আলু ব্যবসায়ী এনায়েত উল্লাহ কিরণ বলেন, দাম বেশি থাকায় কৃষকরা অনেক ছোট আলু ক্ষেত থেকে তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন। ক্ষেত থেকে ১৫ দিন আগে তোলা এক কেজি আলু এখন তুললে তা ওজনে হতো দুই থেকে তিন কেজি। অন্যদিকে আমদানিও কমেছে। এ কারণে বাজারে আলুর দাম বাড়তি।
বড়তাকিয়া বাজারে দেখা হয় জানে আলম নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, আলুর দাম দফায় দফায় বাড়ছে। শীতকালে সবজিসহ সবকিছুর দাম কমে যাওয়ার কথা, কিন্তু উল্টো বাড়ছে। বিভিন্ন বাহানা দিয়ে বাড়িয়েছে আলুসহ শীতকালীন সবজির দাম।
মিরসরাই সদরে বাজার করতে আসা স্কুলশিক্ষক নুর উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাজার করতে যে টাকা নিয়ে বাজারে আসি এখন সেই বাজেটে বাজার করা সম্ভব হয়না। সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে হয় বাজার কম করতে হবে না হয় বাকিতে বাজার করতে হয়। মনে হয় দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই।
বিক্রেতারা বলছেন, নতুন আলু আসার পরও এখনও আলুর বাজার চড়া, যে ধরনের পরিস্থিতি গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। এক সপ্তাহ আগে দাম কমে ৫০ টাকায় নেমেছিল।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এরপর আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আলু আমদানির জন্য দেওয়া অনুমতিপত্রের (আইপি) মেয়াদ গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে।
বারইয়ারহাট পৌর বাজারের আলু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আড়ত থেকে কম দামে কিনতে পারলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারি। পাইকারি ভাবে বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।
মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে ঝামেলায় রয়েছি। সময় করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে মনিটরিং করবো। যদি ক্রয়ের চেয়ে অতিরিক্ত বেশি দামে আলু বিক্রি করার প্রমাণ পাই তাহলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হবে।