ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমন ও বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তিন কোটি ৯২ লাখ মেট্রিক টন। এরই মধ্যে আমনে এক কোটি ৭০ লাখ ও বোরোতে দুই কোটি ২২ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে।
সম্প্রতি সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমন ধান কাটা চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮২ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এবার ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এ বছর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমনে প্রায় এক কোটি ৫৫ লাখ টন আর ২০২১-২২ অর্থবছরে এক কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছিল।
অন্যদিকে, আসন্ন বোরো মৌসুমে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৫০ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর ও দুই কোটি ২২ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভালো হওয়ার কারণে ২০২৩ সালের ০১ জুলাই থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি করার প্রয়োজন হয়নি। প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ কৃষকের মাঝে ১৯৮ কোটি টাকার সার, বীজসহ বিভিন্ন প্রণোদনা বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে চলমান আছে।
প্রসঙ্গত, ধান উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাথমিক তথ্য বলছে, বোরো-আমন-আউশ মিলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদন হয়েছে চার কোটি এক লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ হার্ভেস্টিং লস আর পশুখাদ্য ও বীজসহ অন্যান্য খাতে ১৬ শতাংশ ব্যয় বাদ দিলে মানুষের খাবার উপযোগী চাল থাকে দুই কোটি ৯৩ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন।
এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, বছরে একজন মানুষের চাল দরকার হয় ১৫২ কেজি। সেই হিসাবে জনসংখ্যা বিবেচনায় বর্তমানে দেশে চালের বার্ষিক চাহিদা দুই কোটি ৫৮ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ আমদানি ছাড়াই সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে উদ্বৃত্ত থেকেছে ৩৫ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন চাল। একই হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে থেকেছে ২৫ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন চাল।