ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে সৃষ্ট বন্যার পানিতে পৌরসভার পানি সরবরাহ কেন্দ্রের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন জনগণ।
পার্বত্য জেলা বান্দরবান। বছরের পুরোটা সময়ই সাংগু নদী থেকে পানি তুলে পরিশোধন শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরবরাহ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
তবে গত এক সপ্তাহ ধরে বন্যা থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে অসংখ্য ফিটকিরি, ব্লিচিং পাউডার ও বিভিন্ন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মোটর ও যন্ত্রাংশ।
এদিকে, বন্যার কারণে চার দিন (০৭ আগস্ট থেকে) টানা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল পৌর শহরে। ভেঙে পড়া খুঁটি আর ছিঁড়ে যাওয়া তার মেরামত করার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যুৎ পেয়েছেন পৌরবাসী। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. আসিফ আকবর জানান, বান্দরবানে কয়েকদিন ধরে পানি নেই, বৃষ্টি। আমরা পানযোগ্য পানির জন্য অনেক কষ্ট পাচ্ছি।
মেম্বার পাড়ার জোহরা বেগম জানান, বান্দরবানে কয়েকদিন টানা বর্ষণে এমনিতে জীবন মরণ সমস্যা আর তার ওপরে পৌর এলাকায় লাইনে পানি সরবরাহ বন্ধ। আমাদের পানির কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
এদিকে, বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করার পর পরই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আহ্বায়ক (কনভেনর) পৌর পানি সরবরাহ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মোটর ও যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করে দ্রুত মেরামত করে আবার পৌর বাসিন্দাদের স্বাভাবিক নিয়মে পানি সরবরাহ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে জানান, এবারের বন্যায় পৌর পানি সরবরাহ কেন্দ্রে পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য মজুদ করা প্রায় ছয় টন ফিটকিরি, দুই টন ব্লিচিং পাউডার এবং তিনটি উচ্চ ক্ষমতার মোটর এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বাহাদুর জানান, এবারের বন্যায় পৌর পানি সরবরাহ কেন্দ্রে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হয়েছে। সব পরীক্ষা করে দ্রুত পৌর এলাকায় পানি সরবরাহ শুরু করা হবে।