ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চলতি রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু এর একটিও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না উত্তরের জনপদের দিনাজপুরের হিলিতে। মানা হচ্ছে না সরকারের নির্দেশনা। অনেক বিক্রেতা জানেন না সরকারের বেঁধে দেয়া নিত্যপণ্যের দামের কথা।
সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে দাম বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের।
বৃহস্পতিবার নিত্যপণ্যের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ, মুরগী, গরুর মাংস, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, আলুসহ সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গরুর মাংস সরকারের বেঁধে দেয়া দাম ৬৬৫ টাকা। কিন্তু ব্যবসায়ীদের খেয়াল খুশিমতো ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগী ১৯০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা এবং দেশী মুরগী ৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাতল মাছ ২২০ টাকা এবং পাঙ্গাস মাছ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলু ৪৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, রসুন ১২০ টাকা, আদা ২০০ টাকা। এছাড়াও মসুর ডাল (চিকন) ১৪০ টাকা, ছোলা ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের মাংস কিনতে আসা গোলাম রব্বানী জানান, সরকার গরুর মাংসের দাম ৬৬৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আগের দামেই বিক্রি করছেন।
তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত দাম তো দূরের কথা আগের থেকে আরো ২০ টাকা দাম বেড়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে ঘরে বসে থাকলে তো আর দাম কমবে না। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে কোনো কিছুর দাম কমছে না।
এদিকে, গরুর মাংস ব্যবসায়ী বকুল হোসেন জানান, সরকার দাম কমিয়েছে। কিন্তু গরুর দাম তো আর কমেনি। তাই সরকারের দামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মমতাজ সুলতানা জানান, বেশকিছু জটিলতার কারণে সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। এটা সময়ের ব্যাপার। এছাড়া এলাকাভেদে ওই ২৯টি পণ্যের উৎপাদন ও পরিবহন খরচ এক নয়। ফলে দামের তারতম্য হতে পারে।