ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাজারে স্থিতিশীল মাছ ও সবজির দামের সঙ্গে কমেছে মুরগির দাম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেশকিছু কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। সামনের দিনে দেশের পরিস্থিতির যত উন্নতি হতে ততই পণ্যের দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দোকানদার শাহ আলম বলেন, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, হাইব্রিড পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, দেশি পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি, চায়না ও দেশি আদা ২৮০ টাকা, চায়না রসুন ২৬৫ টাকা এবং দেশি রসুন ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মরিচ ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বিক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে মুরগির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, যা এ সপ্তাহে কমে দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা। সোনালী বা পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা, পাকিস্তান ও দেশি ক্রস ৪০০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা থেকে কমে বর্তমানে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে মুরগির দাম আরও কমবে।
মাছ বিক্রেতা সুমন বলেন, বেশির ভাগ মাছের দামই স্থিতিশীল আছে। তবে ইলিশসহ কিছু মাছের দাম কমেছে। পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নদীর বড় চিংড়ি ১৪০০ টাকা কেজি দরে, ছোট চিংড়ি ১২০০ এবং একদম ছোটটা হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, নদীর বড় বাইম ১২০০ টাকা এবং ছোট বাইম হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নদীর বড় আইড় মাছ ১২০০ টাকা কেজি, পোয়া মাছ ৫০০ টাকা কেজি, নদীর বড় বাইলা ১২০০ টাকা এবং ছোট বাইলা ৮০০ টাকা কেজি, বড় ইলিশ ১৮০০ টাকা এবং ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।