ভরসার জায়গা শাক-সবজিতেও উত্তাপ

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: যাদের মাছ-মাংস খাওয়া সাধ্য ছিল না, তাদের ভরসা ছিল শাক-সবজিতে। কিন্তু দিন দিন সেই শাক-সবজিতে উচ্চ মূল্যের উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ফলে কেনা তো দূরের কথা, হাত দেওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

বাজারে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি এখন পাওয়া যাচ্ছে না। জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে শাক-সবজি।

লক্ষ্মীপুরের বাজারগুলোতে সোমবার ঘুরে দেখা গেছে, ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৪২০ টাকা। এক কেজি টমেটোর দাম ২৬০ টাকা, ধুন্দল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটির কেজি ১৬০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ওলকচু ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর ছড়া ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, ছোট আকারের লাউ ৭০-৮০ টাকা, কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১০০ টাকা।

ছোট আকারের কুমড়ার শাক কিংবা লাউ শাকের আঁটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ২০ টাকা, লাল শাকের কেজি ১০০ টাকা।

লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন, এক কেজি ধুন্দল কিনেছি ১২০ টাকা দিয়ে। কিন্তু এ ধুন্দলের স্বাভাবিক দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ১২০ টাকা দিয়েই তিন থেকে চার ধরনের শাক-সবজি কেনা যেত।

তিনি বলেন, কাঁচা তরকারির যে দাম বেড়েছে, এতে আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

মেজবাহ উদ্দিন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, মাছ-মাংসের দাম বেশি। তাই সাধারণ জনগণের ভরসা ছিল শাক-সবজি। কিন্তু সেটাও আমাদের সাধ্যের মধ্যে নেই। ১০০ টাকা কেজির নিচে সবজি কেনা যায় না। এ অবস্থায় মানুষ খাবে কী?

লক্ষ্মীপুর শহরের একজন কাঁচামালের ব্যবসায়ী বলেন, বন্যার কারণে জেলাতে তেমন কোনো সবজি উৎপাদন হয়নি। অন্যান্য জেলা থেকে সবজি নিয়ে আসতে হয়। উৎপাদন কম হওয়ার সেখানেও দাম বেশি। তাই কাঁচা তরকারি আমাদেরকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।