ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: একদিনের ব্যবধানে রাজবাড়ীতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০-৩০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে ১২০-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। যা গতকাল ছিল ১০০-১১০ টাকা কেজি।
পাশাপাশি আলুর কেজিতে ২/৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। এছাড়া কাঁচা মরিচ, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পোটলসহ অন্য সবজির দাম আগের তুলনায় একটু কম।
সোমবার সকালে রাজবাড়ী পৌর শহরের বড় বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।
শিক্ষার্থী রিমন হোসেন বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন না হলে মনে হয় না যে দাম কমবে। আর সামনে যেহেতু নির্বাচন, সেহেতু এভাবেই চলতে হবে।
হোটেল ব্যবসায়ী হিরন বলেন, বাজারে সব কিছুর যে দাম, তাতে কাস্টমারের কাছে জিনিস বিক্রি করতে কষ্ট হয়। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে না খেয়ে থাকতে হবে। প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। পঁচা পেঁয়াজের দামও চাইছে ১২০ টাকা।
ক্রেতা গৌড় চাঁদ বলেন, সব কিছুর দাম এমন থাকলে কিস্তি উঠিয়ে পলাতে হবে। না হয় গলায় ফাঁস নিয়ে মরতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কারও মনোযোগ নাই। সরকার যদি কঠোর ভাবে তদারকি করে তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সবজি ব্যবসায়ী রাজু মোল্লা বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজ-আলুর দাম বেশি। আজ পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৩০ টাকা কেজি। গতকাল বিক্রি করেছি ১০০-১১০ টাকায়। আজ আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি। বেগুন ৫০-৬০, কাঁচা মরিচ ১৪০, উস্তে ৫০, পোটল ৪০, মুলা ৪০, ফুলকপি ৫০, লাউ পিস ৪০, শসা ৩০, টমেটো ১২০, গাজর ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হালিম কাজি বলেন, আমদানি কম থাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম না কমলে এবং নতুন পেঁয়াজ না উঠলে দাম কমবে না।