ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোক্তার নিকট ভোজ্যতেলের গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং খোলা ভোজ্যতেল বিপণন ও বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভকক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা লক্ষ্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের কার্যক্রম অবহিতকরণ এবং অধিদপ্তর কর্তৃক সহযোগিতা প্রদান সংক্রান্ত আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জমান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং প্রধান কর্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালটেন্ট মোস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার এবং প্রোগ্রাম ডিরেক্টর প্রফেসর সোহেল রেজা চৌধুরীসহ অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ।
অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা সংক্রান্ত এডভোকেসি কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজকের আয়োজিত সভাটি জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটেরর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. আবরার একটি প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে খোলা ভোজ্যতেলের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন এবং খোলা ভোজ্যতেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধ করার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে কাজ করবে তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, খোলা ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মান অনুযায়ী ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না। তাছাড়াও খোলা তেলের ক্ষেত্রে ফুড গ্রেড কন্টেইনার না হওয়ায় তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং রিফাইনিং প্রসেসে ব্লিচিং করে তেলের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমেও এর গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অধিদপ্তর আইন অনুযায়ী মনিটরিং এর মাধ্যমে বর্ণিত সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে পারবে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জমান বলেন, আলোচনা অনুযায়ী বিধিবদ্ধ আইন অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত করে খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির বিষয়ে অধিদপ্তর কর্তৃক অতিসত্ত্বর তদারকি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে মর্মে ভোজ্যতেল রিফাইনারিগুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। আমরা যৌথ উদ্যোগে রিফাইনারিগুলোসহ অংশীজনদের নিয়ে সচেতনামূলক সভা আয়োজন করতে পারি।
তিনি বলেন, সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খোলা তেলের ক্ষতিকর দিকগুলো ভোক্তাদের নিকট তুলে ধরে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে তা প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এছাড়াও অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কোন পর্বের বিষয় খোলা ভোজ্যতেল সংক্রান্ত নির্ধারণ করেও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
-এসআর