ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত ছাড়াও আরও নয় দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশগুলো হলো, চীন, মিশর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এ পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির বিপরীতে দেশে এসেছে তিন লাখ ৭৯ হাজার টন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারত ছাড়াও আরও নয় দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে ২৪০০ টন, মিশর থেকে ৩৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১৮২০ টন, কাতার থেকে ১১০০ টন, তুরস্ক থেকে ২১১০ টন, মিয়ানমার থেকে ২০০ টন, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে চার টন ও ইউএই থেকে তিন টনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। এতে বাংলাদেশের বাজারে বেড়েছে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। সে সুযোগ দেশি পেঁয়াজেরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারে ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে আমদানি করা প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়। যা কেজিতে পড়ছে ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা। অথচ গত সপ্তাহে অর্থাৎ ভারত সরকারের শুল্ক আরোপের আগে এই এই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা পাল্লা। কেজিতে পড়েছিল ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা।
এদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সুযোগে দেশি পেঁয়াজেরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারে বর্তমানে প্রতি পাল্লা ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা, কেজিতে পড়ছে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা। এছাড়া পাবনার হাইব্রিড পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, কেজিতে ৮০ টাকা এবং পাবনার (অরজিনাল) পেঁয়াজ ৪৪০ টাকা, কেজিতে ৮৮ টাকা। অথচ গত সপ্তাহে এই বাজারে ফরিদপুরের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়, পাবনা (হাইব্রিড) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা এবং পাবনার (অরজিনাল) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা।