ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বিশ্ব বাজারে গত দুই বছরের মধ্যে সয়াবিনের দাম সবচেয়ে কমেছে। মঙ্গলবার শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) এক দফা কমেছে সয়াবিনের দাম। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব বাজারে অন্যান্য ভোজ্যতেলের দামও এখন নিম্নমুখী। মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের মূল্য তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে সূর্যমুখী তেলের দামও কমেছে।
শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) সবচেয়ে সক্রিয় সয়াবিনের সরবরাহ মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি বুশেলের দাম নির্ধারণ হয়েছে ১২ ডলার ৬১ সেন্টে। কর্মদিবসের শুরুতে যা ছিল ১২ ডলার ৫৪ সেন্ট। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর এই দাম সর্বনিম্ন।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিনের মাড়াই বেড়েছে। এছাড়া বৃহৎ সরবরাহকারী ব্রাজিলেও বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে রপ্তানি প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়েছে দুই দেশ। এছাড়া মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সয়াবিনের বাজার চাপে পড়েছে।
ব্রাজিলিয়ান কৃষি পণ্য সংস্থা কোনাব জানিয়েছে, দেশটিতে ২০২৩-২৪ মৌসুমে সয়াবিন উৎপাদনের নতুন রেকর্ডের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামও কমেছে। ওপেক প্লাসের বৈঠককে সামনে রেখে এমন চিত্র দেখা গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সুদের উচ্চ হারের কারণে তেলের চাহিদা কমতে পারে। একদিকে সুদের উচ্চ হার অন্যদিকে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতেই চাহিদা কমছে তেলের। কারণ দুর্বল মুদ্রা দিয়ে তেল কেনাটা ব্যয়বহুল।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দামও ব্যাপক ভাবে কমেছে। শিকাগো গম ফিউচারের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো রাশিয়ার সস্তা গমের ব্যাপক সরবরাহ ও যুক্তরাষ্ট্রে ভালো উৎপাদনের পূর্বাভাস।
অস্ট্রেলিয়ান কৃষি ব্রোকারেজ আইকন কমোডিটিসের উপদেষ্টা সার্ভিসের পরিচালক ওলে হাউ বলেছেন, গমের দাম ভবিষতে আরও কমতে পারে। কারণ ক্রেতারা যা প্রয়োজন তাই কিনছে। এতে কমছে চাহিদা।