ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরিশালে হঠাৎ করেই আলুশূন্য হয়ে পড়েছে আড়তগুলো। শুক্রবার সকালে নগরীর ফরিয়াপট্টির আড়তে গিয়ে কোনো আলু পাওয়া যায়নি। দুদিন ধরেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা আলু বিক্রি করছেন না বলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মুদি দোকানিরা আলু কিনতে পারেননি। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
বরিশাল নগরীর ফড়িয়াপট্টির আড়তদার সজল দত্ত বলেন, দুই দিন ধরে বরিশালের আড়তে আলু আনছেন না ব্যাপারীরা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আগের রাখা আলু শেষ হয়ে গেছে। সরকার নির্ধারিত দামে আলু না পাওয়ায় ব্যাপারীরা আলু কিনছেন না। তাই আমার আড়তও শূন্য। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে তাও বলতে পারছি না। এমনি ভাবে চলতে থাকলে আলুর বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।
মায়ের দোয়া ভান্ডারের আড়তদার এনায়েত হোসেন বলেন, এখানকার বেশির ভাগ ব্যাপারী মুন্সীগঞ্জের। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রিতে স্থানীয় আড়তদাররা অপারগতা প্রকাশ করলে তারা এখান থেকে চলে যান। এ অবস্থায় হিমাগারে দাম নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
একাধিক আলুর ব্যাপারী ও আড়তদার জানান, রাজশাহী বা মুন্সীগঞ্জের কোনো কোল্ড স্টোরেজ থেকে সরকার নির্ধারিত ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা ব্যাপারীদের কাছে যে দাম চাচ্ছে তাতে পরিবহন ও শ্রমিক খরচসহ কেজি প্রতি ৪০ টাকা খরচ হয়ে যাবে। পাশাপাশি দাম বেশি নিলেও কম দাম উল্লেখ করে ভাউচার দিতে চান কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা। ব্যাপারীরা এতে রাজি হচ্ছেন না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বরিশাল ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালালেও ব্যাপারীদের ক্রয় রসিদ দেখে চলে আসছেন। কারণ ব্যাপারীরা বলছেন অধিক দামে আলু কিনতে হয়। কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে সরকারি রেট মানছেন না। এমন পরিস্থিতিতে আলু সরবরাহ ঠিক না থাকায় আড়তশূন্য হয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, আলু নেই যে তা নয়, সরবরাহ কম। তবে তা দু-একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। যদি আলুর সরবরাহ কমে যায় তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে কার্যকরী পদক্ষেপ নেব। কোল্ড স্টোরেজগুলোতে কেন্দ্রীয় ভাবে আমাদের অভিযান চলছে। বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে ব্যাপারী, আড়তদার, ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করেছি। বাজারে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হবে না।