ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সরবরাহ কম হওয়ায় রসুনের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
রসুনের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ রসুন সরবরাহ রয়েছে। গত সপ্তাহে রসুন কেজিপ্রতি প্রকার ভেদে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে প্রকার ভেদে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার থেকে আরও কেজিপ্রতি ২০ টাকা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মাঝাঁরি ধরনের রসুন সপ্তাহ খানেক আগে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। বর্তমান দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। বড় রসুন বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকা বর্তমানে দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্চে ২২০ টাকা দরে।
রানীগঞ্জ বাজারে রসুন কিনতে আসা তোজাম্মেল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে রসুনের দাম কম ছিল। আজ কিনতে এসে দেখি প্রতি কেজি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেশি। দাম বেশি হওয়ার কারণে এক পোয়া রসুন কিনলাম। এত দামে রসুন কিনলে আর বাজার কি দিয়ে করব।
তিনি বলেন, আমরা চাই রসুনের দাম যেন কমে আসে। সামনে কুরবানি ঈদ। আমরা গরীব মানুষ কুরবানী দিতে না পারলেও সমাজ থেকে মাংস দেওয়া হয়। সেই মাংস রান্না করতে রসুনের প্রয়োজন। সবকিছু বাড়তি দামের কারণে সংসার চালাতে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাজার করতে আসা মোজাফ্ফর হোসেন নামে এক যুবক বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন ৫০০ টাকা হাজিরায় কাজ করি। দুই দিনের টাকা জমিয়ে বাজার করতে এসে চাল, ডাল, মরিচ, অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে টাকায় হয় না। ফলে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
রানীগঞ্জ বাজারে রসুন বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করেই রসুনের সরবরাহ কমে গেছে। দেশী রসুন দিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে বাজারের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। আগে সরবরাহ ভালো ছিল, দামও কম ছিল।
তিনি বলেন, কৃষকরা বর্তমানে রসুন বিক্রি না করে পরবর্তী সময়ে বাড়তি আয়ের আশায় সংরক্ষণ করে রাখছেন এবং মজুদ বাড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে মোকামগুলোর অনেক ব্যবসায়ী রসুন মজুদ করে রাখছেন। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে বাজার মনিটরিং একান্ত প্রয়োজন।