ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বেড়েছে। আমদানি বাড়ায় দেশীয় কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।
বুধবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে গত বুধবার (২২ মে) প্রতি কেজি দেশীয় কাঁচা মরিচ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর আজ বুধবার (২৯ মে) সেই কাঁচা মরিচ মানভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বন্দরের আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ পাইকারি ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কিছুদিন ধরে হিলিতে কাঁচা মরিচের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।তবে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হওয়ার পর দাম কিছুটা কমেছে।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড রোদের কারণে কাঁচা মরিচ উৎপাদন কমে যায়। তাই বাজারে সরবরাহ কম ছিল। তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এখন ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। তাই দাম কমে এসেছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, গত বছরের ২৩ নভেম্বর এই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। এরপর পাঁচ মাস ছয় দিন বন্ধের পর আবারও কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত বন্দরের আট জন আমদানিকারক তিন হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব বলেন, অনুমতি পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এখন প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড়করণ করা হচ্ছে এসব কাঁচা মরিচ। এতে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে, তেমনই বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয়ও বেড়েছে।
হিলি কাষ্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ভারতীয় ২২টি ট্রাকে ২১২ মেট্রিক টন ২০০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।