ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: লোকসানের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। ঈদের ছুটির শেষে সোমবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসেনি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাওয়ার কারণে আমদানি বন্ধ রেখেছেন তারা। মঙ্গলবার ফের কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। দিনব্যাপি আমদানি হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় দিনেও কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি এই বন্দর দিয়ে।
মঙ্গলবার হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামালের দোকানগুলোতে কাঁচা মরিচ সরববাহ কম থাকলেও দেশীয় কাঁচা মরিচ কেজিতে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা সোমবার খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। তিন দিন আগে সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, কাঁচা পণ্য সকালে বাড়ে বিকেলে কমে। আমরা বেশি দামে কিনলেই বেশি বিক্রি করি। আবার কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কিছুটা কম হয়। এখন সরববাহ কমে গেছে তাই দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার পাঁচবিবি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের পাইকারি দাম ছিল ১৯০ টাকা আর খুচরায় ছিল ২০০ টাকা। মঙ্গলবার পাঁচবিবি বাজারে সেই কাঁচা মরিচ পাইকারী ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বিক্রি করছি ৩২০ টাকা। মোকামগুলোতে পাইকারী বাজারেই প্রতি কেজিতে একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১২০ টাকা।এক মণ কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে এলে তিন-চার কেজি নষ্ট হয়ে যায়।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মো. ইউসুফ আলী বলেন, গেল বছরের ২৪ অগাস্ট থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। গত রোববার সরকার আবারও কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এর ফলে সোমবার হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় পাঁচটি ট্রাকে ২৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই বন্দরের ১৩ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।