ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। সুতরাং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিষয়টি মৌলিক অধিকারের মতোই। সরকার ভোক্তাদের ক্ষমতায়ন না করে উল্টো জ্বালানির দাম নির্ধারণে ভোক্তার যে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল, সেটা আইনের মাধ্যমে পরিবর্তন করেছে।’
বুধবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে গণমধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’।
দেশের ভোক্তারা সেবা বা পণ্য কিনে নানা ভাবে প্রতারিত হন। প্রতিকার পেতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। তাতে কখনো প্রতিকার মেলে, কখনো হতে হয় হতাশ। দেশের পণ্য বাজার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণার হারও বাড়ছে। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে অভিযোগ করার প্রবণতা বেড়েছে। গত ছয় অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা চার গুণ বেড়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে অভিযোগ জমা পড়েছিল ২৫ হাজার ৩৪৬টি। এর আগের অর্থবছরে জমা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯১০টি অভিযোগ। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংখ্যাটি ছিল ছয় হাজার ১৪০। অর্থাৎ ছয় বছরে সেবা বা পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিদের প্রতিকার চাওয়া বেড়েছে চার গুণের বেশি।
সৌজন্যে, প্রথম আলো।