অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বার্কের ফর্মাল অথরিটিটা কী? কন্সটিটিউশনাল অথরিটিটা কী? সেই ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন। এইগুলো লিগ্যাল অথরিটি আছে। তারা তা কার্যকর করতে পারছে কি পারছে না তা পরের ব্যাপার। কিন্তু স্ট্রাকচারালি লিগ্যাল অথরিটির ক্ষেত্রে কোনো প্রবলেম আছে কিনা সেটা দেখার বিষয়। থার্ড কন্ট্রোল এফিসিয়েন্সি – আমি কোনো বডি করলাম। সে বডি কার্যকর করার জন্য তারা সে কাজটা সঠিক ভাবে করতে পারছে কিনা, সে না পারার ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় সমস্যা থাকতে পারে সে বিষয়গুলো কিছু কিছু এসেছে – এফিসিয়েন্সির বিষয়গুলো এখানে তুলে আনা হয়েছে। ফুট বিষয় হচ্ছে একাউন্টিবিলিটি অর্থাৎ আমি বাককে একটা অথরিটি দিলাম আমরা বলছি আমরা শক্তিশালী করলাম। কিন্তু বাক নিজে কার কাছে একাউন্টেবল? বাক অ্যাজ কমিশন কার কাছে একাউন্টেবল – এটা আমাদেরকে বুঝতে হবে। এবং সেই একাউন্টিবিলিটির জায়গাটা আমরা কোথায় নির্ধারণ করেছি, লিগ্যালি কোথায় নির্ধারণ করেছি – দ্যাট ইজ ইম্পোর্টেন্ট। ভেরি ইম্পোর্টেন্ট বিষয় হচ্ছে এমপাওয়ারমেন্ট। A sovereignty within regulatory acts অর্থাৎ বাককে আমরা বলছি তাকে শক্তিশালী করতে তার যে সমস্ত ডিসক্রিপ্যান্সি আছে সেগুলো বাহিরে নিয়ে তাকে এমপাওয়ার করতে চাচ্ছি within regulatory act তাকে সভারেন করতে চাচ্ছি।
আমি বললাম যে সভেরেন্টি বা এমপাওয়ারমেন্ট এটা আমি করলাম। কার পক্ষে করলাম? এমপাওয়ারমেন্ট কার জন্য? এমপাওয়ারমেন্টের কথা আমি একটু কন্সটিটিউশনের বিষয়ে আসতে চাই – আমাদের সংবিধানের বিষয়ে। This empowerment and sovereignty of embark should be in favor of people. এটা হচ্ছে একেবারে সাংবিধানিক একটা ধারা। এর মধ্যে অন্য কেউ নেই। এটা সরকারের পক্ষেও কথা বলতে পারবেন না, তিনি ব্যবসায়ীর পক্ষেও কথা বলতে পারবেন না, তাদের কথা শুনতে পারবেন কিন্তু আলটিমেটলি বাককে কথা বলতে হবে – পিপলের পক্ষে, পিপল কারা? বক্তা – আমরা যাকে বলি। আমরা ক্যাব বলি কনজ্যুমার শাসপিরেশন। We are representative of the consumers এখন প্রশ্ন হচ্ছে ক্যাব-ই কি একমাত্র এই ভুক্তভোগী? এখানেই প্রশ্ন আসে রাজনৈতিক, রাষ্ট্র, আমলাতন্ত্র তার সাথে সম্পর্কের বিষয়। কিন্তু আমি একটা কথা বলতে চাই – আজকে যে আন্দোলনটা শুরু হলো ক্যাবের নামে এই আন্দোলনটা যদি পিপল ঔন না করে তাহলে এই আন্দোলন কখনোই একাউন্টেবল হবেনা, একাউন্টিবিলিটি তার আসবেনা – বাক কখনোই কার্যকর হবে না। অর্থাৎ প্রতিটি জায়গায় যেন বাক বুঝে যে তাকে একাউন্টেবল করার জন্য বডি আছে। সে বডি কার? সে বডি সিভিল সোসাইটির, সেই বডি পলিটিক্যাল পার্টির এবং সে বডি হলো আমাদের দেশের কন্সটিটিউশন রক্ষা করার পক্ষে যে যে শক্তি এদেশে আছে তাদের অর্গানাইজড ফোর্স।
আমরা জানি যে হতাশা হওয়ার সমস্ত বাস্তবতা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র তো চলতে হয়। পিপলকে তো আর হতাশ হলে চলেনা, তাকে তো জীবন চালাতে হয়। আমাদেরকে আশাবাদী হতে হবে যে আমরা যদি অর্গানাইজেশনালি আমরা আজকে ক্যাবের পক্ষ থেকে পলিটিক্যাল পার্টিগুলোকে বলতে পারি যে আপনাদের স্ট্যান্ডটা কী রিগার্ডিং দিজ? বাক বলেন আজকে আমরা শুধু দু-একটা শব্দ শুনি, দু-একটা ছোটোখাটো মিছিল দেখি – কীসের জন্য? অ্যাঁ, ডিজেলের দাম বেড়েছে। আর কোনো প্রোগ্রাম নাই – পিপলের কাছে যাওয়া নাই – অ্যাজ ইফ তারা যেন ঐটুক বলে তাদের গ্রামার রক্ষা করছেন। It is a continuous movement – পিপলকে সে জায়গায় দাড় করানোর জন্য – এটার ব্যাপারে কোনো কথা নাই। আসল কথাটা হলো এখানে আমি মনে করি, যে আজকে বাককে শক্তিশালী করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা যে বডি আজ কথা বলছি এটা আমাদের বলতে হবে। এদেশের সিভিল সোসাইটি, দেশের পলিটিক্যাল পার্টি এবং এদেশের স্টেইট সবাইকে কনসার্ন হতে হবে। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে – স্টেইট কার? আমি যদি স্টেইটের অর্গানকে ধরি সমস্ত আমলারাই তো আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে। তার মানে কী? স্টেইটই তো আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে। আমার বলতে জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাহলে স্টেইট মেশিনারি তো আমার না – তো এই কথাটা তো আমাকে জনগণকে বলতে হবে কাউকে না কাউকে। এই স্টেইট মেশিনারি যে অবস্থায় আছে এ অবস্থায় জনগণের স্টেইট মেশিনারি না। সেকেন্ড প্রশ্ন হলো সরকার – আমরা বারবার করে বলছি সরকার সরকার কি কোনো চিরন্তন বডি নাকি? সরকার তো পালটায় – যেকোনো ভাবে পালটায়। কোনো না কোনো ভাবে সরকার কারও পক্ষে কাজ করছে। আমরা বলছি সরকার অসহায়। কেন অসহায়? কারণ সরকার তার নীতিগত ভাবে, তার রাজনৈতিক ভাবে।
এলপিজি ব্যবসা! কার হাতে। ঐ জায়গার দাম নির্ধারণ হবেনা। কারণ ঐখানের ব্যবসা তো আরেকজনের কাছে আছে। সেখানে আমার চাঁদা পাওয়ার ব্যাপার থাকতে পারে। আমার অন্য কোনো ইন্টারেস্ট পাওয়ার ব্যাপার থাকতে পারে। পলিটিক্যাল পার্টি হিসাবে আমার সেই জায়গাগুলো রয়েছে। তো আজকে সরকার যারা তৈরি করবেন সেই সরকার তৈরি করার যে পলিটিক্যাল পার্টি তাদের যদি দায়বদ্ধতা না থাকে জনগণের কাছে এবং জনগণ যদি আমরা মনে করি এটা অটোমেটিক ব্যাপার। আমাদেরও কোনো দায় নেই। আমি মনে করি এই জায়গাতেই তারা পারবে। আজকে এই ক্যাব যে আন্দোলনটা শুরু করেছে, ধন্যবাদ জানাই এই আন্দোলন should be transmuted to all concern organization and to the peoples. আজকে পিপলকে অর্গানাইজ করার জন্য সিভিল সোসাইটি আছে, পলিটিক্যাল পার্টি আছে। যে যে বডি আছে সরকারকে বাধ্য করার জন্য এই কাজগুলো করার জন্য। তেলের দাম বাড়লে কার অসুবিধা হয়না? আমরা যদি একটু হিসাব করে অংক কষি কার কার অসুবিধা হয়না – অসুবিধা তো আমাদের সবার হয়। তাহলে আমরা কেন কনসার্ন না? তার মানে we are not organized. মানে আমি বলি বাককে যদি আমাদের শক্তিশালী করতে হয় আজকে একেবারে সেলফ এমপাওয়ার্ড বডি যদি তৈরি করি কিন্তু যদি আমরা পিপলের মধ্যে এই অর্গানাইজড ফোর্স কন্টিনিউয়াসলি তাকে মনিটর করার জন্যে তাকে সবসময় ওয়াচডগ হিসাবে তাকে কাজ করানোর জন্য যদি আমরা না থাকি তাহলে ঐ কোর্টে যে আমরা বেনিফিট পাবোনা।
আমাদের দেশের সমস্ত পলিটিক্যাল পার্টি State machinery is being govern by the bureaucracy এখন bureaucracy হচ্ছে স্টেইট bureaucracy-র যারা হর্তাকর্তা বিধাতা তারা যা বলবে তাই চলতে হবে সেটাই হলো স্টেইট মেশিনারি। এই কথাটা আমাদের পিপলের মধ্যে বলতে হবে যে আমরা দেখি আর না দেখি bureaucracy রাষ্ট্র চালায়, রাজনীতি চালায়, তেলের দাম তারাই বাড়ায়। আর যা যা করার দরকার তারাই করে। তাই bureaucracy-র বিরুদ্ধে আমাদেরকে কনসার্ন হওয়ার ব্যাপার আছে। অতএব, বাককে যদি শক্তিশালী করতে হয় যে যে জায়গায় বাককে bureaucracy-র হস্তক্ষেপ করার জায়গা আছে সেই জায়গা আমি জানিনা জ্যোতির্ময় আইনের লোক তিনি বলতে পারবেন – সেটা কীভাবে কাট আপ করতে হবে। সে জায়গা গুলো পরিষ্কার করতে হবে। তো আমি বলি আজকে আমাদের আলোচনাটা এটা আমরা মনে করি এটা একটা পিপলস মুভমেন্ট। It’s a slogan of people movement. পলিটিক্যাল পার্টি পিপলের অধিনস্থ – পলিটিক্যাল পার্টির কাছেও আমরা আবেদন করেছি যে আপনারা এই বিষয়ে কথা বলেন।