ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বিদ্যুতের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিতে সবাই বিপর্যয়ে পড়বে বলে উল্লেখ করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম।
বুধবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাহী আদেশে এক মাসের ব্যবধানে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এবার খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নতুন দাম কার্যকর হবে ০১ মার্চ থেকেই।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি কতটা যৌক্তিক জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, ‘এভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি মোটেই যৌক্তিক নয়। কারণ আদৌ কতটুকু মূল্যবৃদ্ধি করতে হবে, বিচার-বিশ্লেষণ বিধি পদ্ধতি আইনে রয়েছে। সেটাকে উপেক্ষা করে এভাবে মনগড়া মূল্যবৃদ্ধির এখতিয়ার আইন পরিবর্তন করার পরও সরকারকে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) জায়গায় সরকার নিজেই করতে পারবে। কিন্তু সমস্ত পদ্ধতি যেগুলো আইনে বিবৃত রয়েছে, সেগুলো মানতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইচ্ছামতো যখন-তখন, যত খুশি বাড়িয়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা, ভর্তুকি সমন্বয় করা, ঘাটতির বিষয়ে যথেষ্ট আপত্তি আমরা দিয়েছি, এই ঘাটতি ন্যায্য এবং যৌক্তিক নয়। ঘাটতির মধ্যে নানা ধরনের দুর্নীতি এবং অযৌক্তিক ব্যয় বৃদ্ধি, মুনাফা বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। এগুলো কম্পিটিশন আইন এবং বিইআরসি আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলো লুণ্ঠনমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘এসব কিছু বিবেচনায় না রেখে, সেগুলোকে আড়াল করার জন্য, সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যদি সরকার বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি বিভাগের হাতে ক্ষমতা দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করে, তাহলে এটা জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ভাবে সকলেই নাকাল হতে হবে, সকলেই বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। এটার প্রতিকার না করে সেখান থেকে উঠে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সৌজন্যে, বাংলানিউজ।