নিউজ বাংলা টুয়েন্টি ফোরের মাধ্যমে জানা যায়, ‘আদালতের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এ আইনকে আরও জনপ্রিয় ও সহজ করতে অভিযোগ ও তা নিষ্পত্তির বিষয়টি অনলাইনে করা যেতে পারে।’ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় ১৫ দিনের মধ্যে ভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (টিক্যাব)। এ ছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সংশোধন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আরও জনবান্ধব ও শক্তিশালী করা, অধিদপ্তরে অনলাইনে অভিযোগ দায়ের ও নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টির দাবি করেছে সংগঠনটি। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘ভোক্তা সমাবেশ’ থেকে এ চার দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।
সমাবেশে টিক্যাবের আহ্বায়ক মো. মুর্শিদুল হক বলেন, ‘আদালতের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এ আইনকে আরও জনপ্রিয় ও সহজ করতে অভিযোগ ও তা নিষ্পত্তির বিষয়টি অনলাইনে করা যেতে পারে। পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করলে সারা দেশের গ্রাহকরা অভিযোগ জানাতে উৎসাহিত হবেন এবং অসাধু ব্যবসায়ীদেরও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ‘‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’’ এবং ২০১০ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনবল খুবই কম। এ কারণে প্রতিনিয়ত বাজারে নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না।’
টিক্যাবের আহ্বায়ক বলেন, ‘আইনে দেশের প্রচলিত পণ্যের গ্রাহকদের কথা উল্লেখ থাকলেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের গ্রাহকদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। এ অবস্থায় ই-কমার্স সেবা, অনলাইন রাইড শেয়ারিং, অনলাইন ফুড ডেলিভারি সিস্টেম, ই-টিকেটিং, বিভিন্ন সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট ও অ্যাপের ক্রেতা, অনলাইনে বিভিন্ন সেবার গ্রাহক, মোবাইল ব্যাংকিং খাতের গ্রাহক এবং টেলিকম সেক্টরের ভোক্তাদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে আইনের মাধ্যমে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি।’