সম্প্রতি ই-কমার্স খাতের অস্থিতিশীলতা ও ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে দৈনিক আমাদের সময়ের সঙ্গে কথা বলেছেন গোলাম রহমান। তিনি কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
দৈনিক আমাদের সময়ের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন-এমিলিয়া খানম। যা ভোক্তাকণ্ঠের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
আমাদের সময় : ই-কমার্স খাতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। গ্রাহকরা টাকা দিয়েছে কিন্তু পণ্য ও টাকা পাচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যকর ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি আছে?
গোলাম রহমান : বর্তমান সময়ে ই-কমার্স অপরিহার্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ই-কমার্স প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতারণামূলক চটকদার অফার অ্যাডভার্টাইজ করে গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ইভ্যালি এসব প্রতিষ্ঠানের অন্যতম।
গ্রাহকদের কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে অধিদপ্তর আইনের অধীনে অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করেছে। শুনেছি, প্রতিযোগিতা কমিশন বছরখানেক আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণামূলক ব্যবসা পদ্ধতির বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে আনে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন স্থগিত করে, কিন্তু কিছুদিন পর তা প্রত্যাহার করা হয়। সম্ভবত আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার কারণে তখন ইভ্যালির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এরই মধ্যে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা দূর করার লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে ই-কমার্সের মাধ্যমে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গ্রাহকদের প্রতারণার সুযোগ না থাকে।
আমাদের সময় : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গত বুধবারের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে নতুন কিছু আইন ও বিদ্যমান কিছু আইনের সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ই-কমার্স খাত দেখভালকারী কর্তৃপক্ষেরও সুপারিশ এসেছেÑ এ ব্যাপারে আপনি কিছু বলবেন?
গোলাম রহমান : আন্তঃমন্ত্রণালয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ সময়োপযোগী বলে মনে করি। বাস্তবতার নিরিখে আইনের সংশোধন ও নতুন আইন প্রণয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া, তবে আইনের বিধিবিধানে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ প্রতারণামূলক ব্যবসা করার সাহস না পায়। সর্বোপরি আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের সময় : দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণার শাস্তি খুব বেশি নয়, এটা কি সংশোধন করা প্রয়োজন?
গোলাম রহমান : দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা অনুযায়ী শাস্তি সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং পাশাপাশি অর্থদণ্ডেরও বিধান আছে। এটি পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। প্রতারণা করে জীবন ও সম্পদহানির শাস্তি সর্বোচ্চ ৭ বছর কমই। এ ছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর ও ২ লাখ টাকার অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে, যেটিরও পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
আমাদের সময় : গ্রাহকের যে টাকা খোয়া গেছে এটা বিবেচনায় নিয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা?
গোলাম রহমান : গ্রাহকের অর্থ ফেরত প্রদান কেবল আইনি প্রক্রিয়ায় সম্ভব। কোম্পানি আইনে কোম্পানির অবসায়নের মাধ্যমে এবং ফৌজদারি আইনে মামলার রায়ের আলোকে সরকার সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও উদ্যোক্তাদের সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নিতে পারে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই আদালতের আদেশ প্রয়োজন। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার উদ্যোগী হবে, সংশ্লিষ্ট সবাই তা প্রত্যাশা করে।
আমাদের সময় : ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কী কাজ করে?
গোলাম রহমান : জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তাদের অধিকারসমূহ সুরক্ষার জন্য ক্যাব কাজ করছে। ভোক্তাদের তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা এবং ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা ও সম্প্রসারণের জন্য ক্যাব বিভিন্ন অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম করে থাকে। নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার, গ্যাস ও জ¦ালানি খাতে ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার বাজারমূল্য সংগ্রহ ও জীবনযাত্রার ব্যয় নির্ধারণ, ভোক্তা-অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য কল সেন্টার পরিচালনা ও ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনলাইন পত্রিকা ‘ভোক্তাকণ্ঠ’ পরিচালনা অন্যতম। এ ছাড়া ভোক্তা অধিকার সম্পর্কিত সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কমিটিতে ক্যাব ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে এবং ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় ক্যাব সব সময় উচ্চকণ্ঠ থাকে।
অধিকন্তু, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণে বিইআরসি কর্তৃক পরিচালিত গণশুনানিতে ক্যাব ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণ করে। ভোক্তাস্বার্থ সংরক্ষণের প্রয়োজনে ক্যাব জনস্বার্থে আইনি পদক্ষেপ নেয়। ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ক্যাব আলোচনা সভা, সেমিনার অনুষ্ঠান, মানববন্ধন ইত্যাদি কার্যক্রম এবং বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। ক্যাবের জেলা-উপজেলার প্রতিনিধিরা সরকারের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন টিমে ও মোবাইল কোর্টে অংশগ্রহণ করেন। ক্যাব মূলত ভোক্তা অধিকার বিষয়ে ‘ওয়াচডগ’-এর ভূমিকা পালন করে এবং করণীয় বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম ও সুপারিশ প্রদান করে থাকে।
আমাদের সময় : সারাদেশের ভোক্তাদের জন্য ক্যাবের মতো একটি সংস্থার পক্ষে কতটুকু কী করা সম্ভব?
গোলাম রহমান : প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশে ভোক্তাদের মধ্যে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার কাজটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। দেশের প্রতিটি জেলায় ক্যাবের কমিটি আছে এবং সব কটি উপজেলায়, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ক্যাব কাজ করে যাচ্ছে। এসব কমিটি স্থানীয়ভাবে ভোক্তা অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভোক্তা-অভিযোগ নিয়ে কাজ করে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম এবং সর্বোপরি ভোক্তাদেরও তাদের নিজ নিজ অধিকারের বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। সবার সম্মিলিত পদক্ষেপেই কেবল ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা পেতে পারে।
আমাদের সময় : ভোক্তারা কি অধিকার সম্পর্কে সচেতন?
গোলাম রহমান : ভোক্তারা দিন দিন তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন এটি আমরা বলতে পারি। ২০০৯ সালের আগে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে একমাত্র ক্যাবই সোচ্চার ছিল। ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে আইনানুগভাবে কাজ করছে। ফলে ভোক্তা সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোক্তাদের ৮টি অধিকারের মধ্যে অন্যতম অধিকার হলো ‘অভিযোগ করার অধিকার’। সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করেছে, যা ক্যাবের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার প্রতিষ্ঠার ফলে ভোক্তা অভিযোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মাত্র ১৭৯টি, অথচ জুলাই ২০২০ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ এই ১০ মাসে অধিদপ্তরে সাড়ে ১০ হাজারও অধিক ভোক্তা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এতে বোঝা যায়, ভোক্তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে দিন দিন বেশি সচেতন হচ্ছেন। তবে সব শ্রেণির ভোক্তারা যে সমানভাবে সচেতন হচ্ছেন এটি বলা যায় না। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ও নিম্নআয়ের এবং সুবিধাবঞ্চিত ভোক্তাদের অধিকার সচেতন করার প্রয়াস আরও বেশি করে নেওয়া প্রয়োজন।
আমাদের সময় : ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ নামে সরকারের একটা অধিদপ্তর আছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে এই অধিদপ্তর কি দায়িত্ব পালন করতে পারছে?
গোলাম রহমান : জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় এই অধিদপ্তরের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় ভোক্তা অধিকার কাউন্সিল গঠনের সঙ্গে সঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই দপ্তর সারাদেশে প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি, বাজার অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ এবং ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি করে থাকে। এতে ভোক্তাদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে অধিদপ্তরের প্রতি আস্থার জায়গাটি তৈরি হচ্ছে। তবে কিছু আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে অধিদপ্তর ভোক্তাদের সব অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করতে পারে না। এতে অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তাদের হতাশা সৃষ্টি করে।
আমাদের সময় : সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে করণীয় কী?
গোলাম রহমান : সারাদেশে অধিদপ্তরের পর্যাপ্ত লোকবল নেই, উপজেলা পর্যন্ত এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রয়োজন। বার্ষিক বরাদ্দ, লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি পেলে ভোক্তাদের আরও বেশি সেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হতো। এ ছাড়া বিদ্যমান আইনে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় যেসব জায়গায় কাজ বেশি করা দরকার সেসব জায়গায় সেবা দেওয়া অধিদপ্তরের পক্ষে হয়তো সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য ক্যাব দীর্ঘদিন যাবৎ আইনটির সংশোধনের কথা বলে আসছে। আমরা আশা করি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আমাদের সময় : বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করছে?
গোলাম রহমান : বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সুচারুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা অনৈতিক যোগসাজশে সিন্ডিকেট তৈরি করে। তারা সময়ে সময়ে দ্রব্য ও সেবার কৃত্রিম সরবরাহ সংকট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধি ঘটায়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও চটকদার অ্যাডভার্টাইজমেন্টের মাধ্যমে ভোক্তাদের প্রতারিত করে তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে গেছে। এতে ভোক্তারা সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে পারে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের আরও সক্রিয় ও কার্যকর হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আমাদের সময় : ক্যাব সরকারের কাছে কী চায়?
গোলাম রহমান : ক্যাব ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য উপযুক্ত আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আইনের সময়োপযোগী ও যথাযথ বাস্তবায়ন সরকারের কাছে প্রত্যাশা করে। তা ছাড়া প্রতারণামূলক ও বস্তুনিষ্ঠ নয় এমন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বন্ধ করার জন্য দ্রুত আইনি কাঠামো প্রণয়ন সময়ের দাবি।
আমাদের সময় : ক্যাবকে শক্তিশালী করার জন্য আপনার চাওয়া কী?
গোলম রহমান : ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্বশীল একমাত্র স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান ক্যাব। ক্যাবকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। ক্যাবের জেলা ও উপজেলা কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে যদি আরও সম্প্রসারণ ও নিবিড় করা যায় তবে স্থানীয় পর্যায়ে ভোক্তাদের সচেতন করা ও ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা করা সহজ হবে।
আমাদের সময় : ভোক্তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ?
গোলাম রহমান : ভোক্তাদের প্রতি পরামর্শ হচ্ছে ভোক্তারা যেন দেখেশুনে, বুঝে জিনিস ক্রয় করেন, বিশেষ করে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে। চটকদার ও লোভনীয় বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হবেন না। এতে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মনে রাখতে হবে প্রতারিত হওয়ার পর অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েও এর প্রতিকার পাওয়া অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
আমাদের সময় : আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
গোলাম রহমান : ধন্যবাদ।