ঢাকা, ২১ অক্টোবর সোমবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৩১ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, মাদারীপুর, শেরপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, নোয়াখালী, ফেনী, ঝিনাইদহ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, রংপুর-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব মো: মাসুম আরেফিন, জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব মাগফুর রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক তেজগাঁও এবং গুলশান এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘আগোরা’ কে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘মোতাহার স্টোর’, ‘জাহাঙ্গীর স্টোর’, ‘বাবুলের গোস্তের দোকান’, ‘মেসার্স বাসার ট্রেডার্স’, ‘মেসার্স ইহাস ট্রেডার্স’, ‘মানিক ট্রেডার্স’, ‘কুমিল্লা বাণিজ্যালয়’, ‘আবদুল গণি পাটোয়ারী স্টোর’, ‘সেকান্দার এন্টারপ্রাইজ’, ‘সামাদের কাঁচাবাজার’, ‘লিটিল ইন্ডিয়া’, ‘মনা দধি ভান্ডার’, ‘মেসার্স মমতাজ ট্রেডার্স’ কে যথাক্রমে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘মোহাম্মদীয়া হোটেল’ কে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘ইসলামিয়া জেনারেল স্টোর’ ও ‘বিসমিল্লাহ স্টোর’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা ও ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ২০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৭৯,০০০/- (উনআশি) হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ২৫টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৫৮টি প্রতিষ্ঠানকে ২,০৭,৫০০/- (দুই লক্ষ সাত হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২,০০০/- (বত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৪ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৩১টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৪টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩,১৮,৫০০/- (তিন লক্ষ আঠারো হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।